দিল্লি, 20 সেপ্টেম্বর : চলতে থাকা বিতর্কের মধ্যেই আজ রাজ্যসভায় কৃষি সংক্রান্ত বিলগুলির মধ্যে দু'টি পাশ হয়ে যায় । আর এরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধীরা । কৃষি বিল পাশ হওয়ার ঘটনাকে সরাসরি কৃষকদের আত্মার উপর হামলা বলে দাবি করছে কংগ্রেস শিবির । কৃষিবিলগুলিকে কালা আইন বলে আখ্যা দিয়ে রাহুল গান্ধি টুইটারে প্রশ্ন তোলেন, মোদি সরকারের কৃষক বিরোধী 'কাল আইন' দিয়ে কৃষকরা APMC / ফসলের ন্যূনতম ন্যায্য দাম কীভাবে পাবেন ? ফসলের এই ন্যূনতম ন্যায্য দামের কোনও নিশ্চয়তা নেই কেন ? " নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের পুঁজিপতিদের 'দাস' করে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল ।
কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিং বাজওয়া বলেন, তাঁর দল "কৃষকদের এই মৃত্যু পরোয়ানা"-য় সই করবে না ।
তিনি বলেন, "কংগ্রেস এই বিল মানে না । আমরা কৃষকদের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করব না । আপনারা যে সুবিধার কথা বলছেন, কৃষকরা সেই সুবিধা পেতে চায় না । তাহলে কেন আপনারা জোর করে তাঁদের উপর এটি চাপিয়ে দিচ্ছেন ।" প্রসঙ্গত, পঞ্জাব ও হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত কৃষি বিলের তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে । জায়গায় জায়গায় প্রতিবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা । সাংসদের কথায়, এই বিল পাশ করা মানে সরাসরি ওই কৃষকদের আত্মাকে আঘাত করা ।
সম্প্রতি বিহারে কোশি নদীর উপর রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "কৃষি বিলের বিষয়ে ভুল বার্তা ছড়ানো হচ্ছে । বলা হচ্ছে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন না । কিন্তু যাঁরা এই ভুল বার্তা ছড়াচ্ছেন, তাঁরা জানেন না ভারতের কৃষকরা কতটা সচেতন ।"
কৃষকরা যে যথেষ্টই সচেতন, তা আজ কেন্দ্রকে মনে করিয়ে দেন কংগ্রেস সাংসদ । বলেন , "কৃষকরা মোটেই অশিক্ষিত নন । তাঁরা বুঝতে পারছেন যে ফসলের ন্যূনতম ন্যায্য মূল্য থেকে সরে যেতে চাইছে কেন্দ্র । একবার এই বিল পাশ হয়ে গেলে সরকার এখান থেকে সরে যাবে । বদলে আসবে আম্বানি, আদানি ও অন্যান্য বড় বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি ।" এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, কীভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি ও পর্তুগিজ়রা ভারতের দখল নিয়েছিল সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি ।