দিল্লি, 27 ফেব্রুয়ারি : থমথম করছে এলাকা । বন্ধ দোকানপাট । রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দোকান, বাড়ির আসবাবপত্র । কোথাও পড়ে রয়েছে বাড়ির ভাঙা অংশ । আর দফায় দফায় নিরাপত্তারক্ষীদের টহল । ঘটনার চার দিন পরও এই দৃশ্য ধরা পড়ল উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে । দেখলে মনে হবে, কোনও যুদ্ধ পরবর্তী ক্ষেত্র ।
রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি । দিল্লির এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে । গতকাল দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টেও দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে । পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশের পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে, বলা হয়েছে আদালতের তরফে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দিল্লি পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করে টুইট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ।
আসরে নামতে হয়েছে খোদ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে, যা প্রমাণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরোপুরি ব্যর্থ দিল্লি পুলিশ ৷ ডোভাল ঘটনাস্থানগুলিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন । তাদের আশ্বাস দেন । কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিকের কোনও চিহ্নই নেই দিল্লিতে । বরং, ক্রমশ বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা । ঘটনার প্রথম দিনে পাঁচ জনের মৃত্যুর হয় । সেই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন 30 ছাড়িয়ে 36 । এই সংখ্যা যে আরও বাড়বে তা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই । জখম প্রায় 250 জন । এছাড়াও প্রতিদিন হিংসার ঘটনায় জখম হয়ে কেউ না কেউ হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন ।