দিল্লি, 1 অগাস্ট : তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ এর ফলে, আইনে পরিণত হল বিলটি ৷ 2018 সালের 19 সেপ্টেম্বরের পর থেকে তাৎক্ষণিক তিন তালাকের মামলাগুলি এই আইনের আওতায় বিচার করা হবে ৷
তাৎক্ষণিক তিন তালাক উচ্চারণের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রথা বা 'তালাক-এ-বিদ্দত'-কে 2017 সালে অসাংবিধানিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট । এরপর তাৎক্ষণিক তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিয়ে তিন বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা করতে বিল আনে মোদি সরকার । লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যায় না থাকায় সেইসময় রাজ্যসভায় আটকে যায় । বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মুসলিম উইমেন (প্রোকেটশন অফ রাইটস অফ ম্যারেজ), 2019 অর্থাৎ তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিলটি পাশ করাতে উদ্যোগী হয় মোদি সরকার ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর :ফের তিন তালাক বিলের বিরোধিতা কংগ্রেসের
25 জুলাই লোকসভায় বিলটি পেশ করেন আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ ৷ বিলটি লিঙ্গ সাম্যের বলে মন্তব্য করেন ৷ তিনি বলেন, "পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের 24টি ইসলাম ধর্মালম্বী দেশে তাৎক্ষণিক তিন তালাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ কেন ধর্মনিরপেক্ষ ভারত তা পারবে না ?" তিনি জানান, তাৎক্ষণিক তিল তালাকের মাধ্যমে বিচ্ছেদের প্রথাকে অসাংবিধানিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । কিন্তু, তারপরও তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা চলছে ৷ পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, "2017 সালের জানুয়ারি থেকে অন্তত 574টি তাৎক্ষণিক তিন তালাকের ঘটনা সংবাদমাধ্যম সামনে নিয়ে এসেছে ৷ অগাস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকে সেই সংখ্যাটা 300-রও বেশি ৷" আইনমন্ত্রী বলেন, "এই প্রথাকে অপরাধযোগ্য করার মধ্যে সমস্যা কোথায় ? যখন পণ বা পারিবারিক হিংসার আইনের ধারায় হিন্দু ও মুসলিমদের জেল হয়, তখন তো কেউ কিছু বলে না ৷"