দিল্লি, 10 নভেম্বর : দীপাবলিতে বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ে দিল্লি সরকারকে অবস্থান স্পষ্ট করার আবেদন জানালেন বাজি ব্যবসায়ীরা ৷ কয়েকদিন আগে দিল্লির মু্খ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি বৈঠকে বাজি নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ৷ কিন্তু ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এর জেরে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হবেন তাঁরা ৷
দিল্লিতে একদিকে যেমন সংক্রমণ বাড়ছে অন্যদিকে দূষণের সূচকও বেড়েছে ৷ ইতিমধ্যেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোরোনা পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ালে তা আরও বিপদ ডেকে আনতে পারে ৷ সেই কথা মথায় রেখে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবার বাজি পোড়ানো বন্ধের সিদ্ধন্ত নেন ৷ কিন্তু এতে সমস্যায় পড়েছেন বাজি বিক্রেতারা ৷
আরও পড়ুন :30 নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লি ও NCR-এ আতসবাজিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক বাজি বিক্রেতা দীপক বলেন, " আমার কাছে স্থায়ী লাইসেন্স রয়েছে ৷ প্রায় তিন লাখ টাকার বাজি কিনেছি আমি ৷ কিন্তু এখন 30 নভেম্বরের পরই আমি পারব এগুলি বিক্রি করতে ৷ প্রত্যেক বছরই দীপাবলি শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগেই আমদের জানানো হয় বাজি ফাটানোর বিষয়ে ৷ সেই কারণে আমরা বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হই ৷"
যদিও গ্রিন ট্রাইবুনাল জানিয়েছে, গত বছর নভেম্বরে NCR-এর এই সব শহরগুলিতে বাতাসের গুণমান খুবই খারাপ ছিল ৷ তবে পরিবেশের কোনও ক্ষতি করবে না এমন বাজি পোড়ানো যাবে ৷ তবে সেই ক্ষেত্রে এমন শহরেই সেইসব বাজি বিক্রি করা যাবে, যেখানে বাতাসের গুণমান খুব ভালো ৷