পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

হাসপাতাল ছেড়ে পালাল কোরোনায় আক্রান্ত, পরদিন দেহ উদ্ধার - রোগীর মৃত্যু

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শনিবার হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান এক কোরোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি। পরের দিনই বিকেলে হাসপাতাল থেকে 500 মিটার দূরত্বে একটি ঝোপ থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

Coronavirus patient died
Coronavirus patient died

By

Published : Jul 27, 2020, 8:05 PM IST

প্রয়াগরাজ( উত্তরপ্রদেশ), 27 জুলাই : হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কোরোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তি ৷ একদিন পরই হাসপাতাল থেকে মাত্র 500 মিটার দূরত্বেই একটি ঝোপ থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে।

মৃতের পরিবারের তরফ থেকে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ, সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা না মেলায় শনিবার রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। যদিও হাসপাতালের তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার স্বরূপরানি নেহরু হাসপাতালে কোরোনার উপসর্গ নিয়ে ভরতি হন 57 বছর বয়সি ওই ব্যক্তি। তাঁর শ্বাসকষ্ট ছিল বলে জানা গিয়েছে । মৃতের পরিবারের দাবি, হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ওই ব্যক্তি ফোন করে হাসপাতালে অব্যবস্থা ও সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ জানায়।

হাসপাতালে CCTV ফুটেজে দেখা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ওই ব্যক্তি হাসপাতালের গেট দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এর ঠিক 30 সেকেন্ড পরেই একদল লোক ওই গেট দিয়ে বাইরে যান । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, CCTV ফুটেজে যে সকল ব্যক্তিদের দেখা গিয়েছে, তাঁরা হাসপাতালের কর্মী এবং আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন ৷

SRN হাসপাতালের অধ্যক্ষ এস পি সিং বলেন, "কোরোনায় আক্রান্ত ওই ব্যক্তির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল ৷ কিন্তু আচমকাই ওই ব্যক্তি হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যান। চিকিৎসকেরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি চলে যান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়। "

অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির মেয়ের অভিযোগ , "হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। রোগীদের প্রতিদিন হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। বাবা ওয়ার্ড ছেড়ে বেরিয়ে গেল, অথচ কাউকে এই বিষয়ে দায়ি করা হল না । টাকা না দেওয়া অবধি খাবার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছিল না। "

ABOUT THE AUTHOR

...view details