লন্ডন, 8 মে - সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোরোনা ভাইরাসে নানা পরিবর্তন এসেছে । গবেষকরা বলছেন, Sars Cov-II নিজের কোষগুলি এরই মধ্যে প্রায় 198 বার পরিবর্তন করেছে । 7500 জনের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই ভাইরাস বিভিন্ন ভাবে নিজের গতিবিধি পরিবর্তন করেছে । বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা কোরোনা নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে ।
এই সংক্রান্ত গবেষণার একটি পেপার ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের গবেষকরা তাঁদের দা জার্নাল ইনফেকশনে প্রকাশ করেছেন । যেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে ভাইরাসটি মানুষের শরীরে জাল বিস্তার করছে । পাশাপাশি জেনেটিক পরিবর্তনের বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে । মূলত, যে এলাকায় মানব শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি, সেখানেই এই ভাইরাসের পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করা গেছে । দেখা গেছে, মানব শরীরে প্রবেশের পর নিজের কোষ ও জিনে প্রায় 198 রকমের পরিবর্তন এনেছে কোরোনা ।
গবেষণা অনুযায়ী কোষগুলির পরিবর্তনের সঙ্গে জিনেরও আকারগত পরিবর্তন ঘটছে । যদিও মানব দেহে সাধারণত এই পরিবর্তন যায় । এটি একটি ভাইরাসের খুব সাধারণ বৈশিষ্ট্য কারণ মানব শরীরে আক্রমণের পর একটি ভাইরাস কোষ ও জিনের পরিবর্তন অনুযায়ী নিজের গঠনগত পরিবর্তনও ঘটায় । যদিও এখনও এটা স্পষ্ট নয়, Sars Cov-II ভাইরাসের পরিবর্তন দ্রুত গতিতে হচ্ছে নাকি ধীর গতিতে । যদি দ্রুত গতিতে এই পরিবর্তন চলতে থাকে, তাহলে কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধের ক্ষেত্রে যথাযথ কাজ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে ।
তাই বিজ্ঞানীদের মত, যদি এই ভাইরাস প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরি করতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এমন জায়গা খুঁজে বের করতে হবে যেখানে ভাইরাসের পরিবর্তন ধীর গতিতে হচ্ছে । এর পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরির সময় মাথায় রাখতে হবে, চিকিৎসার সময় যেন যথাযথভাবে কাজ করে এটি ।
এবিষয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফ্রান্সিস বেলোকস বলেন, "ভাইরাস প্রতিরোধ করতে মানব শরীরে ভাইরাসের গঠনগত পরিবর্তনকে আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে আমাদের ।"