হায়দরাবাদ, 11 জুলাই : এই কোরোনা পরিস্থিতিতে বাজারে দুই ধরনের কোরোনা সুরক্ষা বীমার সুবিধা দিচ্ছে স্বাস্থ্যবীমা সংস্থাগুলি ৷ ইনসিউরেন্স রেগুলেটরি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার যে গাইডলাইন রয়েছে, সেই বিধি মেনেই এই কোরোনা সুরক্ষাবীমাগুলি দিচ্ছে সংস্থাগুলি ৷ একটি বীমা হল কোরোনা কবচ ৷ অন্যটি কোরোনা রক্ষক ৷ দুই ধরনের বীমারই সাধারণ বৈশিষ্ট্য, শর্তাবলী প্রায় একই ধরনের ৷ তবে সংস্থাগুলি নিজেদের মতো করে প্রিমিয়াম ধার্য করতে পারবে ৷
কোরোনা কবচটি হল এক ধরনের ক্ষতিপূরণ ভিত্তিক বিমা (ইনডেমনিটি বেসড পলিসি) ৷ অন্যদিকে কোরোনা রক্ষকটি হল রক্ষামূলক পলিসি (বেনিফিট বেসড পলিসি) ৷ কোরোনা সুরক্ষাবীমা কেনার আগে আপনার জন্য কোন বীমাটি বেশি লাভদায়ক হবে সেটি জেনে নেওয়া দরকার ৷
কোন বীমার আওতায় কী পড়ছে ?
যেমনটা বলা হয়েছে, কোরোনা কবচ হল ক্ষতিপূরণ ভিত্তিক পলিসি ৷ অর্থাৎ প্রথমে আপনাকে হাসপাতালে নিজের টাকা দিয়েই চিকিৎসা চালাতে হবে ৷ যদি আপনার শরীরে কোরোনার হদিস মেলে, তবে আপনি যে অঙ্কের টাকার বীমা করেছেন সেই টাকা পেয়ে যাবেন সংস্থা থেকে ৷
অন্যদিকে কোরোনা রক্ষক পলিসিটি হল বেনিফিট বেসড ৷ অর্থাৎ, আপনি রোগনির্ণয়ের জন্য বীমাকৃত অঙ্কের টাকা একবারে পেয়ে যাবেন ৷ এক্ষেত্রে কোরোনার চিকিৎসায় হাসপাতালের বিল যতই আসুক না কেন, আপনি যত অঙ্কের বীমা করেছেন, তা পুরোটাই পেয়ে যাবেন ৷
টাকা পাওয়ার নিয়মবিধি
বাড়িতে থেকে 14 দিন পর্যন্ত যাবতীয় চিকিৎসার খরচ কভার করা হবে কোরোনা কবচ বীমায় ৷
তবে কোরোনা রক্ষক বীমার টাকা কোনও ব্যক্তি তখনই পাবেন, যখন তিনি কোরোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর কমপক্ষে 72 ঘণ্টা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবেন ৷ এক্ষেত্রে বাড়ি থেকে চিকিৎসার কোনও টাকা পাওয়া যাবে না ৷
কত টাকা পর্যন্ত বীমা করা যাবে?
কোরোনা কবচের আওতায় ন্যূনতন 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 5 লাখ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন ৷
অন্যদিকে কোরোনা রক্ষকের আওতায় 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 2 লাখ 50 হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন ৷