লকডাউনে পণ্ড অনুষ্ঠান, লুক্সেমবার্গ থেকে জয়পুর; পরিবার-পুরোহিত নিয়ে ভিডিয়ো কলেই বিয়ে

লকডাউনের জেরে পাত্র- পাত্রী আসতে পারেননি ইউরোপ থেকে । তাই সোশাল মিডিয়া অ্যাপের মাধ্যমে লুক্সেমবার্গ, প্যারিস, জয়পুর, যোধপুর, মিলল এক জায়গায় । পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে বিয়ে হল যুগলের ।

জয়পুর, 18 এপ্রিল : কথা ছিল বিয়ে হবে ধুমধাম করে । লোকজন আসবে । সাজবে দু'জন মন ভরে । ছবির ক্লিকে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সময় । সেইমতো আমন্ত্রণপত্রও বিলি করা হয়ে গেছিল । পাত্রীর বাবা সৌদি আরব থেকে চলে এসেছিলেন ভারতে । বিয়ের দিন ঠিক ছিল 16 এপ্রিল । কিন্তু লকডাউনের সময়সীমা বাড়ায় সেদিন বিয়ে ভেস্তে যায় । অগত্যা টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে একটি সোশাল মিডিয়া অ্যাপের মাধ্যমে বিয়ে সারলেন যুগল ।

চাকরি সূত্রে একজন থাকেন ইউরোপের লুক্সেবার্গে, আরেকজন প্যারিসে । দু'জনেই রাজস্থানের বাসিন্দা । তাঁদের পরিবারও এখানেই । কথা ছিল 16 এপ্রিল রাজস্থানেই বিয়ে হবে তাঁদের । কিন্তু কোরোনার জেরে আপাতত ইউপোরেই আটকে পড়েন তাঁরা । পাত্রীর বাবা সৌদি আরব থেকে লকডাউনের আগেই ভারতে চলে এলেও পাত্র-পাত্রী আসতে পারেননি । উপায় না পেয়ে বিয়ে হল ভিডিয়ো কলে । সোশাল মিডিয়া অ্যাপের মাধ্যমে লুক্সেমবার্গ, প্যারিস, জয়পুর, যোধপুর, বান্সওয়ারা মিলল এক জায়গায় । বান্সওয়ারার পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে বিয়ে হল যুগলের । প্রায় 3 ঘণ্টা চলা এই বিয়ে পালন করা হল যথাসম্ভব নিয়মে । সবশেষে ভিডিয়ো কলে বসেই ইউরোপের দুই প্রান্ত থেকে আশীর্বাদ নিলেন যুগল । আশীর্বাদ পৌঁছাল রাজস্থান থেকে ।

এবিষয়ে পাত্রীর বাবা বলেন, "সৌদি আরবে রয়েছি 10 বছর ধরে । মেয়ের বিয়ের জন্য মার্চের 15 তারিখে ভারতে এসেছিলাম । বিয়ে ঠিক হয়েছিল 16 এপ্রিল । কিন্তু লকডাউনের জেরে আমার মেয়ে আর জামাই ইউরোপ থেকে আসতে পারেনি । আমাদের এখানে সবরকম আয়োজন হয়ে গেছিল । আমরা চেষ্টা করছিলাম ওখানে বসেই বিয়েটা যাতে সারা যায় । তারপর একটি অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিয়ো কলে বিয়ে হল । "