গান্ধিনগর, 7জুন : প্রথমে কর্নাটক । তারপরমধ্যপ্রদেশ । দুই রাজ্যেই মন্ত্রী-বিধায়কদের পদত্যাগের পর আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস । এই ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার অতিসতর্ক কংগ্রেস ।তাই রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতের বিধানসভা থেকে তিন বিধায়ক পদত্যাগ করতেই15জন বিধায়ককে আনন্দের একটি রিসর্টেসরাল কংগ্রেস ।
কোরোনারজেরে গুজরাতের রাজ্যসভা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল । এবার19জুন সেই নির্বাচনের দিন নির্ধারিতহয়েছে । আর তার সঙ্গেই গুজরাতে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা । গত কয়েকদিনেগুজরাতের বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কংগ্রেসের তিন জন বিধায়ক । যার জেরেবর্তমানে গুজরাতে কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে65। তাই আর কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে আজ15জন বিধায়ককে মধ্য গুজরাত থেকে আনন্দেরএরিস রিভারসাইড রিসর্টে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাখল কংগ্রেস । বাকি বিধায়কদের গতকালইআম্বাজি,রাজকোট ওভাদোদরার তিনটি রিসর্টে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত,গত বছর জুলাইয়ে ঘোড়া দুর্নীতি-অসহযোগিতাসহ একাধিক অভিযোগ তুলে কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন15জন বিধায়ক । এরপরেই শুরু হয় আস্থা ভোটনিয়ে জল্পনা । বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত । অবশেষে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়কুমারস্বামীর জোট সরকার । ঘোরা কেনাবেচা চলে । যে কাজে নাম জড়ায় অমিত শাহের ।
চলতি বছরের মার্চে মধ্যপ্রদেশেররাজনীতির চিত্রটাও খানিকটা একইরকম ছিল । পদত্যাগ করেছিলেন কংগ্রেস মন্ত্রী ওবিধায়করা । পরে আস্থা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কমলনাথ ।আর মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতার আসনে বসেBJP।তবে,সেবার অভিযোগ তোলা হয়েছিল যে,মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়কদেরভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেBJP।
গুজরাতেররাজ্যসভা নির্বাচনের দিন নির্ধারিত হওয়ার পর তিন জন কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করতেইফের একই আশঙ্কা করছে দল । তাঁদের আশঙ্কা,মধ্যপ্রদেশের মতো গুজরাতের কংগ্রেসবিধায়কদেরও ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেBJP।তাই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়সেদিকে নজর রেখেই গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়কদের বিভিন্ন রিসর্টে সরিয়ে নিয়ে গিয়েরাখা হল । এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস নেতা ভারত সিং সোলাঙ্কিকে ।ইতিমধ্যে তিনি ওই বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছেন ।