দিল্লি, 11 ফেব্রুয়ারি : দিল্লিতে এবারও জমানত বাজেয়াপ্ত কংগ্রেসের। হারের দায় নিয়ে দলীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষ চোপড়া । বলেন, আমার কাছে কম সময় ছিল। কিন্তু, সবরকম চেষ্টা করেছি। দিল্লিতে এরকম রাজনীতি আগে কখনো দেখিনি যেখানে ভোটাররা AAP-এর বিজ্ঞপ্তিতে প্রভাবিত হয়েছেন।
শিলা দীক্ষিতের নেতৃত্বে একসময় 15 বছর দিল্লিতে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস । কিন্তু 2015-র বিধানসভা নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারেনি দল । এবারও একই ছবি । রাজধানীতে খাতায় খুলল না শতাব্দী প্রাচীন দলের । এককথায়, দিল্লিতে কার্যত ক্ষয়িষ্ণু দলে পরিণত হয়েছে কংগ্রেস । AAP ঝড়ের সামনে টিকতেই পারেনি তারা ।
এবার 5 শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে । এই হারের পিছনে অভ্যন্তরীণ বিবাদকে দায়ি করছেন কোনও কোনও কংগ্রেস নেতা । কেউ আবার প্রচারের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলছেন । যদিও আশা ছাড়েননি সুভাষ চোপড়া । ফল প্রকাশের পর জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের লড়াই অব্যাহত থাকবে । কিন্তু, শেষমেশ তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন।
এইবার ভোটে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট করে 66টি আসনে লড়েছিল কংগ্রেস । বেশিরভাগ কংগ্রেস প্রার্থীই তাঁদের বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছেন । জমানত বাজেয়াপ্ত হয় 63জন প্রার্থীর।
দিল্লি মহিলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রিয়াঙ্কা সিং মাত্র 3.6 শতাংশ ভোট পেয়েছেন । হেরেছেন দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান পুনম আজ়াদও। 2.23 শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি । বদলির কংগ্রেস প্রার্থী দেবেন্দ্র যাদব 19.66 শতাংশ ভোট পেয়েছেন । গান্ধিনগর কেন্দ্রে অরবিন্দর সিং লাভলি পেয়েছেন 19.14 শতাংশ ভোট । কস্তুরবা নগরের প্রার্থী অভিষেক দত্ত 21.42 শতাংশ ভোট পেয়েছেন ।