দিল্লি, 9 অক্টোবর : ফুল আর নারকেল উৎসর্গ করে রাফালের গায়ে এঁকে দিয়েছিলেন ‘ওম’। দশেরার রীতি মেনে করেছিলেন অস্ত্র পুজোও । রাফাল যুদ্ধবিমানে প্রথম বার চড়ার আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের এমন পদক্ষেপ ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক চরমে । সব থেকে বেশি সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস ৷ বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের দিকে আঙুল তুলেছেন কংগ্রেস নেতারা ৷ গেরুয়া শিবিরের দাবি, ভারতীয় ঐতিহ্য মেনেই এমন পদক্ষেপ করেছেন রাজনাথ ৷
বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাফালের ৷ প্রথমে UPA সরকারের আমলে ফ্রান্স থেকে 126টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য দর কষাকষি চলছিল । সেই চুক্তি হলে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা হ্যাল-এরও ‘অফসেট’ সহযোগী হিসেবে বরাত পাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু মোদি সরকার এসে 126টি রাফাল কেনার বদলে মাত্র 36টি যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেয় । সেই চুক্তির অঙ্গ হিসেবে ফরাসি সংস্থা দাঁসো-র থেকে বরাত পায় অনিল অম্বানির সংস্থা । তা নিয়েই রাহুল গান্ধি দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ।
মোদি সরকার বেশি দামে যুদ্ধবিমান কিনেছে বলে রাহুল অভিযোগ তুললেও নরেন্দ্র মোদি, অরুণ জেটলি, নির্মলা সীতারামনরা পালটা দাবি করেছিলেন, UPA আমলের থেকে কম দামে বিমান কেনা হয়েছে । কিন্তু কম দামেই যদি পাওয়া গেল তা হলে 126টি-র বদলে 36টি বিমান কেনা হল কেন? প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের তরফে যুক্তি ছিল, বায়ুসেনার কাছে 36টির বেশি বিমান রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছিল না । যখনই একটি স্কোয়াড্রন বা 18টি বিমান কেনা হয়, তখন সেগুলির সংস্কারের জন্য অন্যান্য অনেক কিছু প্রয়োজন হয় । তাই জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন হলে সব সময়েই দুই স্কোয়াড্রন বা 36টি যুদ্ধবিমান কেনা হয় । তার বেশি নয় ।