পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য জরুরি তহবিলের অনুমোদন কেন্দ্রের - রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য জরুরি তহবিলের অনুমোদন কেন্দ্রের

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে 2024-এর মার্চের মধ্যে মোট তিন দফায় এই জরুরি তহবিল কার্যকর হবে । প্রথম দফায় প্রদত্ত অর্থ দিয়ে কোরোনা হাসপাতাল, আইসোলেশন ব্লক, হাসপাতালগুলিতে ভেন্টিলেটর ব্যবস্থার উপর নজর দেওয়া হবে ।

ছবি
ছবি

By

Published : Apr 9, 2020, 5:57 PM IST

দিল্লি, 9 এপ্রিল : জাতীয় ও রাজ্যস্তরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করতে এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ওষুধপত্র সরবরাহের লক্ষ্যে জরুরি তহবিলের অনুমোদন দিল কেন্দ্র । আজই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য মোট তিন দফায় এই জরুরি তহবিল কার্যকর করার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ।

আজ সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের লেখা এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, এই তহবিলের সমস্ত অর্থই কেন্দ্রীয় সরকার দেবে । চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে 2024-এর মার্চের মধ্যে মোট তিন দফায় এই জরুরি তহবিল কার্যকর হবে । প্রথম পর্যায়ের সময়কাল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন, দ্বিতীয় পর্যায় জুলাই থেকে 2021-এর মার্চ এবং তৃতীয় পর্যায় 2021-এর এপ্রিল থেকে 2024-এর মার্চ পর্যন্ত ।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, কোরোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জাতীয় ও রাজ্যস্তরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে মজবুত করতে এবং চিকিৎসা পরিষেবাকে সুনিশ্চিত করার জন্যই এই তহবিল তৈরি করা হয়েছে ।

ইতিমধ্যেই চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে এই তহবিলের প্রথম দফার অর্থ দেওয়া হবে । প্রদত্ত অর্থ দিয়ে প্রথম দফায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির স্বাস্থ্যক্ষেত্রের যে বিষয়গুলিতে নজর দেওয়া হবে সেগুলি হল কোরোনা হাসপাতাল, আইসোলেশন ব্লক, হাসপাতালগুলিতে ভেন্টিলেটর, অক্সিজেনের সুবিধা সহ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ল্যাবরেটরিগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কমিউনিটি হেলথ ভলান্টিয়ার সহ অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের নিযুক্তি ও তাদের বেতনসংক্রান্ত বিষয় । এছাড়াও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে যাতে ল্যাবরিটেরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং নমুনা অন্যত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে পরিবহনগত দিকে যাতে কোনও অসুবিধা না থাকে, সেই বিষয়টিও দেখা হবে । স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই তহবিলের অর্থ যেন PPE, N95 মাস্ক মজুত ও সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । পাশাপাশি হাসপাতাল, সরকারি অফিস, অ্যাম্বুলেন্স, স্যানিটাইজ়িংয়ের উপরও নজর দিতে হবে ।

উল্লেখ্য এই মুহূর্তে কোরোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা 166 । আক্রান্ত প্রায় 5 হাজার 700 জন । তাই সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই জরুরি তহবিল কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

ABOUT THE AUTHOR

...view details