দিল্লি, 28জুন : লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কী করেছে কেন্দ্র ? তাদের সমস্যার সমাধান কীভাবে করা হয়েছে ? এই প্রশ্নের ভিত্তিতে বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা । আজ সেই সমালোচনার উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । তিনি বলেন, কেন্দ্র খুব ভালোভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা বুঝেছে এবং তার সমাধান করেছে । তবে কেন্দ্রের উদ্যোগ সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি ।
বিরোধীদের সমালোচনার মুখে বারবারই পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে । একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে হেঁটে ফেরা, এই সব কিছুর জন্য "অপরিকল্পিত" লকডাউনকে দোষ দিয়েছে বিরোধীরা ।
আজ অমিত শাহ বলেন, “আমার মনে হয় কেন্দ্রের উদ্যোগ সঠিকভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়নি । লকডাউনে শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়েছে । আমি এবং প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের প্রথম দিনেই প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম । তাঁদের জানিয়েছিলাম শ্রমিকদের থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করুন । প্রতিটি রাজ্য শ্রমিকদের থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করেছিল । প্রায় 2.5 কোটি মানুষের মধ্যে খাবার বিলি করা হয়েছে ।”
রাজ্য এবং কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি । বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই শ্রমিকদের সমস্যা এবং চাহিদা নিয়ে ভাবা হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্যে ন্যাশনাল ডিজ়াস্টার রেসপন্স ফোর্সের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে 11 হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন । শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই শ্রমিকদের জন্য হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হয় । পাশাপাশি কোয়ারানটিন সেন্টারও তৈরি করা হয় বলে দাবি করেন তিনি ।
এখনও পর্যন্ত প্রায় 4 হাজার 594টি ট্রেনে 63 লাখ পরিযায়ী শ্রমিক নিজ রাজ্যে ফিরেছেন । 42 লাখ শ্রমিককে তাঁদের প্রয়োজন মতো নির্দিষ্ট রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । অমিত শাহ বলেন, “উত্তরপ্রদেশ, বিহার , ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন । তাঁদের কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছিল । কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের প্রত্যেককে এক থেকে দুই হাজার টাকা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি ।”
দুর্ঘটনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়েও দুঃখপ্রকাশ করেন অমিত শাহ । বলেন, "এই কথা ঠিক যে কয়েকটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে । সেই সব ঘটনার জন্য খারাপ লেগেছে । তবে সেই নির্দিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলেছি ।"
MNREGA-র অন্তর্ভুক্ত প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা, গরিব রোজগার যোজনা কি নিজ রাজ্যে ফিরে আসা শ্রমিকদের জন্য যথেষ্ট ? না কি অন্য কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ? সেই প্রশ্নও করা হয় অমিত শাহকে । তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে রোজগার যোজনার সূচনা করেছেন । MNREGA-র মজুরি এবং দিন সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে ।