হায়দরাবাদ, 27 জুন : অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয় CBSE বোর্ড । এমনটা মনে করছেন CBSE -র প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায় । লকডাউন এখন অনেকটাই শিথিল হয়েছে । তবে কমেনি কোরোনার সংক্রমণ । এই পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে সমস্ত স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এই অবস্থায় ডিজিটাল দুনিয়ায় পঠন-পাঠনের দিকে জোর দিয়েছে গোটা বিশ্ব । শিক্ষাবিদরা বলছেন, এটাই এখন "নিউ নর্মাল" । কোরোনার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে GRE ও TOEFL -এর পরীক্ষা ইতিমধ্যেই অনলাইনে নেওয়া হয়ে গেছে । কিন্তু CBSE -র প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায় মনে করছেন, "অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য CBSE বোর্ড এখনও প্রস্তুত নয় । "
ETV ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অশোক গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, " বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থাকায় এখনই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয় CBSE । কয়েক লাখ পড়ুয়া CBSE বোর্ডের অধীনে পড়াশোনা করে । আমার তো মনে হয়, স্কুলগুলিও এখনই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয় । পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যাবে । পরিস্থিতি এ-রকম চলতে থাকলে পড়ুয়াদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করতে হলে যথাযথ মূল্যায়নের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন । সেই মূল্যায়নের মাধ্যমেই পড়ুয়াদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হোক ।"
একই বিষয়ে তিনি আরও বলেন, "স্কুলগুলিতে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে পরিকাঠামো ও নেটওয়ার্ক দরকার, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেই । পাশাপাশি CBSE-র আওতায় দেশে বহু সংখ্যক স্কুল রয়েছে । স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যাও অনেক । এই পরিস্থিতিতে এটি যে একেবারেই অস্বাভাবিক, তা নয়। তবে স্কুলগুলিতে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে আরও কয়েক বছর সময় লেগে যাবে ।"
1 জুলাই থেকে 15 জুলাইয়ের মধ্যে CBSE-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির সমস্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল । তবে এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করে CBSE । 25 জুন সুপ্রিম কোর্টে CBSE-র তরফে একথা জানান সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা । সুপ্রিম কোর্টকে সলিসিটর জেনেরাল জানান, দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু থেকে বলা হয়েছে ওই রাজ্যগুলিতে বর্তমানে পরীক্ষা নেওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি নেই ।
কী বলছেন CBSE -র প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায় ? এই পরিস্থিতিতে গতকালই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, CBSE-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির স্থগিত বিষয়ে আর পরীক্ষা হবে না । হয়ে যাওয়া পরীক্ষা বা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে না হওয়া বিষয়গুলিতে নম্বর দেওয়া হবে । ফলপ্রকাশ হবে জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে । এক্ষেত্রে প্রকাশিত ফল আরও ভালো করার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা ঐচ্ছিক পরীক্ষায় বসতে পারে । যদিও কোরোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই সেই পরীক্ষা হবে । এক্ষেত্রে কেউ এই পরীক্ষা না'ও দিতে পারে ।