মুম্বই, 29 অক্টোবর : সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রভাব কোনও ঘটনার তদন্তে ও বিচার ব্যবস্থায় পড়ছে কি না তা স্পষ্ট করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট । আজ বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি জি এস কুলকার্নির ডিভিশন বেঞ্চ এর জন্য 6 নভেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রকে সময়সীমা দিয়েছে । প্রয়োজনে সংবাদমাধ্যমের উপর নির্দিষ্ট গাইডলাইন লাগু করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত ।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর কি তদন্তে প্রভাব ফেলছে? প্রশ্ন বম্বে হাইকোর্টের
সুশান্ত সিং মৃত্যুতে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আজ বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রশ্ন করে ।
আজ এক শুনানিতে আদালত জানায় যদি কোনও বিষয়ে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে অপরাধীদের আড়াল হয় এবং প্রমাণ নষ্ট করার সুযোগ পায় । অথবা যদি কোনও নির্দোষ ব্যক্তির অতিরিক্ত খবর প্রকাশের ফলে তাঁঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, তাহলে সংবাদমাধ্যমের সীমা নির্দেশ করতে হবে । আমাদের নিজেদের ও একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে । কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনেরাল অনিল সিংকে আদালত নির্দেশ দেয়, এই ধরনের ঘটনা কেন্দ্র যেন গুরুত্ব দিয়ে দেখে । সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের জন্য যদি কারওর জীবন হানি বা কোনও মামলা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে তা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন তৈরি করা ।
সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জনস্বার্থ মামলার আজ চূড়ান্ত শুনানিতে একথা জানায় বম্বে হাইকোর্ট । বিভিন্ন বেসরকারি নিউজ় চ্যানেল ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি (NBSA) বক্তব্য শোনেন দীপঙ্কর দত্তর ডিভিশন বেঞ্চ । যদিও নিজেদের পক্ষে সওয়াল করে সংবাদমাধ্যমের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নিয়ম যাতে লাগু না হয় তার আরজি জানায় সংবাদমাধ্যমগুলি । পাশাপাশি আদালত জানায়, তদন্তমূলক সাংবাদিকতার অর্থ হল সত্যিটা সবার সামনে তুলে ধরা । মুখ্য বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “এমন কোনও আইন আছে, যেখানে বলা হয়েছে তদন্তকারী সংস্থার সংগৃহীত প্রমাণ সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে । এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা হবে না ?” পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কীভাবে সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছাল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত । এমন কোনও তথ্য সংবাদমাধ্যম পেয়েছে যা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, তা অবশ্যই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত বলে উল্লেখ করে আদালত ।