প্রতি সপ্তাহে 1 থেকে 8 অগাস্ট বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ পালন করা হয় । 2020-র থিম হল, " সুস্থতর পৃথিবীর জন্য স্তন্যপানকে সমর্থন করুন ৷ " মাতৃদুগ্ধই সবথেকে স্বাস্থ্যকর খাবার, যা একটি শিশুকে আমরা দিতে পারি । শিশুদের জন্য একে অমৃত বলা হয়, যার বহু উপকার রয়েছে । ETV ভারত সুখীভব এনিয়ে কথা বলেছিল বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, গাইনিকোলোজির অধ্যাপক, মুম্বইয়ের কামা এবং অলব্লেস হাসপাতালের প্রাক্তণ সুপার, ড. রাজশ্রী কাটকের সঙ্গে ।
স্তন্যপানের উপকারিতা কী কী?
- মায়ের দুধ হল শিশুর জন্য সম্পূর্ণ আহার । এটা অনেকটা অমৃতের মতই, কারণ এতে থাকে ইমিউনোগ্লোবিউলিন, যা রেসপিরেটরি সংক্রমণের মতো বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে, ফলে নিউমোনিয়া এবং সংক্রমণের জেরে মৃত্যুর ঘটনা কম হয় ।
- মায়ের দুধ সম্পূর্ণ আহার ৷ কারণ এতে রয়েছে জল, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও সহজপাচ্য ফ্যাট । এতে মিনারেল, ক্যালসিয়াম আর আয়রনও রয়েছে, যা শিশুর ভালভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে ।
শিশুর জন্য কী কী উপকার?
- মায়ের সঙ্গে আবেগের বন্ধন জোরালো হয়, শিশুদের বোধ গভীর হয় ।
- যে শিশুরা স্তন্যপান করা, তাদের IQ জোরালো হয়।
- বাইরের ফর্মুলা দুধের তুলনায় মায়ের দুধ খেলে শিশুর ওজন ঠিকমতো বাড়ে।
- স্তন্যপান করা শিশুরা সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে না।
- শিশুদের ফুসফুসের সংক্রমণ, ডায়েরিয়া, কানের সংক্রমণ ও অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করে।
কতবার স্তন্যপান করানো উচিত?
- যখনই শিশুর খিদে পাবে, খাওয়ানো উচিত । একে বলে ‘ডিমান্ড ফিডিং’ ৷ যা প্রতি দেড় থেকে তিন ঘণ্টায় করা হয় । জোর করে শিশুকে স্তন্যপান করানো উচিত নয় ।
- শিশুকে অতিরিক্ত জল, বা গ্রাইপ ওয়াটার বা গুট্টি দেবেন না ৷ কারণ 6 মাস শুধুমাত্র স্তন্যপান করাতে হয় । শিশুর পক্ষে বুকের দুধই স্বয়ংসম্পূর্ণ । মায়ের দুধের মধ্যেই পর্যাপ্ত জল থাকে, তাই অতিরিক্ত জল দেওয়ার দরকার নেই । সঠিকভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখতে পারলে শিশুর সংক্রমণ হতে পারে । যখন শিশু দুধ খেয়ে সন্তুষ্ট হবে, সে শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে । যদি শিশু কাঁদতেই থাকে, সেক্ষেত্রে দুগ্ধক্ষরণ কম হচ্ছে কি না দেখতে হবে ।