দিল্লি, 29 জানুয়ারি: কোনওরকম ধস্তাধস্তি ছাড়া একা কোনও ব্যক্তির পক্ষে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়। একজন লোকের পক্ষে কোনও মেয়েকে মুখ চেপে নিয়ে গিয়ে তাঁর ও নিজের জামাকাপড় খুলে ধর্ষণ করা প্রায় অসম্ভব। এই যুক্তিতে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস করে দিল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। বিচারপতি সেই পুষ্পা গানেদিওয়ালা। সম্প্রতি যাঁর একটি বিতর্কিত রায় নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়কে স্থগিত করেছে।
ইয়াভাতমলে ধর্ষণে অভিযুক্ত 26 বছরের এক ব্যক্তির আবেদন মামলার শুনানিতে বম্বে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ বলেছে, ''কোনও মেয়ের কণ্ঠরোধ করে তাঁর ও নিজের জামাকাপড় খুলে কোনও ধস্তাধস্তি ছাড়া একা একজন মানুষের পক্ষে ধর্ষণ করা প্রায় অসম্ভব। মেডিক্যাল প্রমাণও এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারিণীর পক্ষে যাবে না।''
2013 সালের 26 জুন অভিযোগকারিণীর মা তাঁর প্রতিবেশী সুরজ কাসাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ছিল, তাঁর কন্যার যখন 15 বছর বয়স ছিল তখন তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এই অভিযোগ পেয়ে এফআইআর দায়ের করে চার্জশিট দখিল করে পুলিশ। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবীর দাবি ছিল, এই ঘটনা যখন ঘটে তখন মেয়েটির বয়স 18 বছরের বেশি ছিল এবং উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিল। যদিও অভিযোগকারিণীর আইনজীবী জানান, লুকিয়ে মেয়েটির বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। সেই সময় মেয়েটির বয়স 15 ছিল বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন :নাবালিকার যৌন হেনস্থা নিয়ে হাইকোর্টের 'ডিসটার্বিং' রায় স্থগিত শীর্ষ আদালতে
যদিও দু পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারপতি গানেদিওয়ালা বলেন, নিগৃহীতার মেডিক্যাল রিপোর্ট বা অন্য কোনও প্রমাণে এটা স্পষ্ট নয় যে, ঘটনার সময় মেয়েটির বয়স 18 বছরের নীচে ছিল। বিচারপতির দাবি, ''এটা কি জোর করে যৌনসম্পর্ক স্থাপন ছিল? দু পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির কোনও প্রমাণ মেলেনি। মেডিক্যাল রিপোর্টে কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন সামনে আসেনি।''