মুম্বই, 10 নভেম্বর : মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার ক্ষমতা নেই BJP-র । আজ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এই কথাই জানায় BJP-র রাজ্য নেতৃত্ব । দলের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল জানান, শিবসেনা চাইলে সরকার গড়তে পারে বা অন্য কেউ সরকার গড়তে পারে । তারপরই রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশওয়ারি দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে শিবসেনাকে ডেকে পাঠালেন ।
রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশওয়ারি আজ সরকার গড়ার জন্য রাজ্য BJP নেতৃত্বকে রাজভবনে ডেকেছিলেন । ডাক পেয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে BJP-র রাজ্য নেতৃত্ব । সেখানে চন্দ্রকান্ত পাতিল সরকার গড়ার ক্ষেত্রে তাঁদের "অক্ষমতা"-র কথা জানান এবং সরকার গড়ার ইশুতে বল শিবসেনার কোর্টে ঠেলে দেন ।
ভোট মিটলেও সরকার গঠন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে মহারাষ্ট্রে । 288 আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভার 105টি আসন দেবেন্দ্র ফড়নবিসদের দখলে । অন্যদিকে, শিবসেনা পেয়েছে 56 টি আসন । গতবার শিবসেনার সঙ্গে জোট করে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছিল BJP । কিন্তু এবার ভোটের পর সরকার গঠন নিয়ে BJP-শিবসেনার মধ্যে জটিলতা তৈরি হয় । শিবসেনা 50:50 ফর্মুলায় সরকার গঠনের দাবি করে গেরুয়া শিবিরের উপর চাপ বাড়িয়েছিল । কয়েক দফা অমিত শাহ-দের সঙ্গে বৈঠকের পর নিজেদের সেই দাবি থেকে সরে এলেও স্বরাষ্ট্র বা অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলি দাবি করে শিবসেনা । কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলি হাতছাড়া করতে রাজি হয়নি BJP ।
এদিকে, এবারই প্রথম ঠাকরে পরিবার থেকে কেউ ভোটে লড়েছেন এবং জিতেওছেন । স্বাভাবিকভাবে বাল ঠাকরের তৃতীয় প্রজন্মের এই জয়কে স্মরণীয় রাখতে কোমর বেঁধেছে শিবসেনা । মুখ্যমন্ত্রীর পদ বা অর্থ ও স্বরাষ্ট্রের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর হাতে পেলেই যে একমাত্র সম্মান রক্ষা সম্ভব সেটা ভালোই জানে শিবসেনা নেতৃত্ব । আর সেজন্যই দর কষাকষি চূড়ান্ত স্তরে নিয়ে গেছে তাঁরা । বিরোধী দলের আসনে বসবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে NCP ও কংগ্রেস । স্বাভাবিক হিসেবেই একমাত্র বিকল্প ছিল BJP । সরকার গঠনের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সরকার গড়ার জন্য তারা সময় চেয়ে নেয় । তবে, নরেন্দ্র মোদি থেকে BJP-র শীর্ষ নেতৃত্ব, প্রায় সকলেই প্রকারান্তরে জানিয়ে দেন ফড়নবিসকেই তাঁরা মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদে দেখতে চান । এই জটিল পরিস্থিতিতে দেবেন্দ্র ফড়নবিসদের গতকাল সরকার গড়ার জন্য ডাকেন রাজ্যপাল । আজ সেখানে গিয়ে রাজ্য BJP নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, সরকার গড়তে অক্ষম তারা । এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তবে কি রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে আরও এক পা এগোল মহারাষ্ট্র ?