দিল্লি, 30জুন : ভারতের চিনা দ্রব্য বয়কটেরসিদ্ধান্তকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধির। মোদি সরকারের‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-এর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘মুখে তিনি‘মেক ইন ইন্ডিয়া‘বলছেন। কিন্তু2014সাল থেকে দেশে চিনা দ্রব্যের আমদানিঅনেক বেড়ে গিয়েছে।‘‘
এপ্রসঙ্গে এদিন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘তথ্য কখনও মিথ্যা হয় না ।BJPসরকার বলে আসছে‘মেক ইন ইন্ডিয়া‘। কিন্তু,এই সরকার আদতে চিন থেকেই জিনিস কিনছে।‘‘
UPAওNDAসরকারেরআমলে চিন থেকে ঠিক কত শতাংশ জিনিস আমদানি হয়েছে তার তথ্য গ্রাফিক্সের মাধ্যমে তুলেধরেন রাহুল গান্ধি। গ্রাফিক্সে দেখা গিয়েছে, UPAসরকারের আমলে অর্থাৎ2008থেকে2014সালের মধ্যে দেশে চিন থেকে আমদানিরহার ছিল14শতাংশ।কিন্তুNDAসরকারেরআমলে সেই আমদানির হার18শতাংশেবেড়ে দাঁড়ায়েছে ।
তৎকালীনপ্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে2008সালে চিন থেকে আমদানির হার ছিল12শতাংশ।2012সালে তা বেড়ে দাঁড়ায়14শতাংশে। কিন্তু2014সালে আবার তা কমে দাঁড়ায়13শতাংশে। তবে,বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরআমলে চিন থেকে আমদানির পরিমান আরও বেড়ে যায় বলেই দাবি করেন রাহুল গান্ধী।2015সালে চিন থেকে আমদানির পরিমান বেড়েদাঁড়ায়14শতাংশ।2016ও2017সালেতা বেড়ে দাঁড়ায়16ও17শতাংশে।এমনকি2018সালেতা18শতাংশেবেড়ে দাঁড়ায় বলেই দাবি করেন রাহুল গান্ধি।
উল্লেখ্য,লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনাদিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। চিনা সেনাদের হাতে20ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পর লাদাখসীমান্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। ভারতীয় জওয়ানদের হত্যার প্রতিবাদেদেশজুড়ে চিনা দ্রব্য বর্জনের ডাক দেয় বিভিন্ন সংগঠনগুলো। বিভিন্ন এলাকায় চিনাদ্রব্য পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় মানুষেরা। এমত পরিস্থিতিতে কেন্দ্র সরকারের তরফেদেশে59টি চিনাঅ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। তবে,কেন্দ্রসরকারের এই সিদ্ধান্তকে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো কটাক্ষ করে।