লখনউ, 6 ডিসেম্বর : লখনউ, নবাবদের শহর, এখানে একটি অসাধারণ অট্টালিকা আছে যা সবার আশ্চর্যের কারণ হতে পারে ৷ শাহয়ের ঘণ্টাঘরের সম্পর্কে খুব কমই জানা যায় ৷ বিশ্বজুড়ে এই ঘরের খ্যাতি গোলোকধাঁধা, ইমামবারা ও সুন্দর পুকুরের জন্য ৷ পুরাতন লখনউয়ের হুসেনাবাদ অঞ্চলে অবস্থিত দেশের সর্বোচ্চ ক্লক টাওয়ার ৷ এর উচ্চতা 221 ফুট । যাঁরা এটি দেখেন তারা অবাক হয়ে যান, দেড়’শ বছর আগে প্রযুক্তির সুবিধা না থাকা সত্বেও কীভাবে এত উঁচু একটি অট্টালিকা নির্মাণ করা হত ।
নবাবী ঐতিহ্য ধরে রেখে এই অট্টালিকাটি ব্রিটিশরা নির্নাণ করেছিল
ঐতিহাসিকরা বলেন, এই ক্লক টাওয়ারটি ব্রিটিশ স্থাপত্য শিল্পের সেরা নমুনা হিসাবে বিবেচিত হয় । এটি 1882 থেকে 1887 সালের, পাঁচ বছরের মধ্যে তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার জর্জ কুপারের সম্মানে নির্মাণ করা হয়েছিল । ইঁট এবং চুন দিয়ে তৈরি এই অনন্য ভবনটি ইঞ্জিনিয়ার ফ্রেডেরিক উইলিয়ামস স্টিভেন্সের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয় । 221 ফুট উঁচু ঘণ্টাঘরটি নির্মাণের সময় 90 হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছিল । এই পরিমাণ অর্থ হুসেনাবাদ ট্রাস্ট দিয়েছিল ।
দেশের সবথেকে বড় এই ক্লক টাওয়ার
এই ক্লক টাওয়ারের ঘড়িটি ব্রিটেনের জেডব্লিউ বেসন সংস্থা তৈরি করেছিল ৷ বিশ্বে এই জাতীয় মাত্র তিনটি ঘড়ি আছে । আজও এটি দেশের বৃহত্তম ঘড়ি হিসাবে বিবেচিত হয় ৷ পাঁচ ফুট লম্বা ও তিন ফুট চওড়া ঘড়িটির প্রতিটি গিয়ার 50 কিলো ওজনের ৷ এবং এটি পিতল ও গান মেটাল দিয়ে তৈরি ৷ তখন এই ঘড়িটির দাম ছিল 27 হাজার টাকা । ঘড়িটিতে পাঁচটি ঘণ্টা লাগানো আছে ৷