দিল্লি, 21 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত দিল্লি । বিকেলে দরিয়াগঞ্জের বিক্ষোভ মিছিল থেকে আটক হওয়া 40 জনের মুক্তির দাবিতে গতরাতে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। গতকাল পুলিশের হাত থেকে কোনওক্রমে বেরিয়ে গেছিলেন ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ । আজ সকালে প্রথমে তাঁকে আটক করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় ।
- CAA-র প্রতিবাদে সরব জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ।
- দিল্লিতে গতরাতের ঘটনায় 15 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রথমে 10 জনকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরে আরও 5 জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।
- পুলিশ সূত্রে খবর, আটক হওয়া 40 জনের মধ্যে আট জন কিশোর। এদের মধ্যে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে । কয়েকজনের হাতে চোট লেগেছে । একজনের মাথায় চোট লেগেছে । তাঁকে লোক নায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও চার-পাঁচ জন কিশোর থানায় রয়েছে । তাদের অভিভাবকরা থানায় এলে তবেই ছাড়া হবে । আট পুলিশ সহ 36 জন কম বেশি চোট পান। তাঁদের লোক নায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
- গতকাল দিল্লির জামা মসজিদ থেকে মিছিল বের করে ভীম সেনা । অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও মিছিল করায় ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে ধরতে সকাল থেকেই সজাগ ছিল পুলিশ । জামা মসজিদের বাইরে বেরোনোর গেট বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদীদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ । কিন্তু জনস্রোতের সামনে কার্যত সংখ্যায় কম পড়ে যায় তারা । এদিকে মিছিল শুরু হয়ে যাওয়ায় ভিড়ের মধ্যে মিশে যান চন্দ্রশেখর। জামা মসজিদ থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে মিছিল । এর কিছু পরে যদিও দরিয়াগঞ্জের কাছে চন্দ্রশেখরকে আটক করতে পারে পুলিশ । তবে তাঁকে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি । ভ্যানে তোলার আগেই পুলিশের হাত ছেড়ে ফের মিছিলে ঢুকে পড়েন তিনি। দরিয়াগঞ্জের সুভাষমার্গের কাছে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাইক ও গাড়ি। পরিস্থিতির সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । জলকামানও ব্যবহার করা হয়।