দিল্লি, 6 মে : কোরোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় 25 মার্চ থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । ইতিমধ্যেই লকডাউনের মেয়াদ 17 মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হলেও এখনও সামাজিক দূরত্ব, সেলফ আইসোলেশন ও হোম কোয়ারানটিন মেনে চলতে বলা হচ্ছে । দোকানপাটও খুলে দেওয়া হয়েছে । ছোটো ছোটো ব্যবসা ক্ষেত্রে আবার কাজ শুরু হয়েছে । তবে এই পরিস্থিতিতে এই দোকানপাট খোলা কোথাও যেন সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে । ইতিমধ্যে এমন কিছু ঘটনা দেখা গেছে, যেখানে দোকানদারদের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । আর এখানেই আচরণগত বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । যার মাধ্যমে ব্যবসার মালিক ও কর্মচারীরা পরিষেবা দেওয়ার সময় নিজেদের এবং গ্রাহকদের সুরক্ষা দিতে পারে।
সমাজ সচেতনতায় বার্তা
এক্ষেত্রে সমস্ত দোকানের বাইরে এবং ভিতরে কোরোনা নিয়ে নানা রকমের সচেতনতার বার্তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে । সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই ধরনের ইতিবাচক ও সামাজিক স্বার্থে প্রচারিত বার্তাগুলি খুবই কার্যকর। এই বার্তাগুলি সামাজিক দূরত্ব বজায়, হাত ধোওয়া, মাস্ক পরা, সেলফ আইসোলেশন, হেল্পলাইন নম্বর সহ নানা বিষয়ে তৈরি করা যেতে পারে । এবং সমাজের স্বার্থে, সচেতনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ।
সীমিত প্রবেশ ও বেশি সময়ের জন্য দোকান খুলে রাখা
মুদি দোকান এবং সুপারমার্কেটের মতো ব্যবসা ক্ষেত্রে সীমিত সংখ্যক গ্রাহককে প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে । পাশাপাশি গ্রাহকদের অপেক্ষা করার জায়গা সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে । মুদি দোকান, ফলমূল এবং শাকসবজি বিক্রেতাদেরও গ্রাহকদের অপেক্ষার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা সুনিশ্চিত করতে হবে । যাতে ভিড় এড়ানো যায় । এর একমাত্র কার্যকর উপায় হল দীর্ঘক্ষণ দোকান খুলে রাখা । এবং সীমিত সংখ্য়ায় গ্রাহকদের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে পুরো বিষয়টির সামঞ্জস্য রক্ষা করা।
স্যানিটাইজ়ার ও মাস্কের ব্যবহার
দোকানগুলিতে এমন একটি জায়গায় স্যানিটাইজ়ার রাখতে হবে, যেখানে সহজে চোখ পড়ে গ্রাহকদের । যাতে দেখা মাত্রই গ্রাহকদের স্যানিটাইজ়িংয়ের কথা মনে পড়ে যায় । এটি খুব কার্যকর উপায় হতে পারে । দোকান বা সুপার মার্কেটের কর্মীদের অবশ্যই মাস্ক পরা উচিত । যাতে নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরও সংক্রমণ থেকে বাঁচানো যায় । নিয়মিতভাবে স্যানিটাইজ়িং, হাত ধোয়া, মাস্ক পরার এই এই বিধিগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যা ব্যক্তি বিশেষে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। আর এখানেই আচরণগত বিজ্ঞানের গুরুত্ব ।
এর পাশাপাশি প্রবেশের পথ, অর্ডার দেওয়ার জন্য দাঁড়ানোর জায়গা, বিল পেমেন্টের জায়াগ এবং দোকান থেকে বেরোনোর জায়গাগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত । এছাড়াও, মৌখিকভাবে বা কোনও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বারবার গ্রাহকদের দূরত্ব বজায় রেখে অর্ডার দেওয়ার জন্য সচেতন করা যেতে পারে । এই ধরনের পদক্ষেপও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে । পাশাপাশি এমন ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে দোকানের জিনিসপত্রগুলি কর্মীদের দ্বারা গ্রাহকের কাছে পৌঁছায় । গ্রাহকরা যেন সরাসরি কোনও জিনিস ছুঁতে না পারে।