গুয়াহাটি, 21 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন 2019-র প্রতিবাদে অসমে চলা বিক্ষোভে হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত হচ্ছে SIT(স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম)। গতকাল একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল । ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের একজনকেও যে ছাড়া হবে না, সেকথাও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অসমের মানুষের কাছেই থাকবে অসম। এর জন্য যে আইন আনার প্রয়োজন তা আনা হবে । প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসমের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, অসম অ্যাকর্ডের 6 নম্বর ধারা বাস্তবায়ন করতে পর্যাপ্ত সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে।''
এদিকে টুইটে অসম পুলিশ জানিয়ে দেয়, রাজ্যে পুনরায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে । জনগণের প্রতি আমাদের অনুরোধ সোশাল মিডিয়ায় তারা যেন কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিডিয়ো বা তথ্য শেয়ার না করেন। রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি আনতে আপনাদের সহায়তা একান্ত কাম্য।
CAA-র প্রতিবাদে সরব হয়েছে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি । দিন কয়েক আগে পর্যন্ত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল অসমে । টায়ার জ্বালিয়ে, গাড়ি পুড়িয়ে, স্টেশন ভাঙচুর করে বিক্ষোভ দেখায় মানুষজন । অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক । নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম মুখ ছিল ছাত্র সংগঠনগুলি । দিনের পর দিন বনধ চলেছে রাজ্যের নানা প্রান্তে । প্রতিবাদ মিছিল থেকে আটক করা হয়েছিল অনেককে । এর জেরেই 11 ডিসেম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা । পরে 16 ডিসেম্বর তিনসুকিয়া, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, জোরহাট, গোলাঘাট, কামরূপ সহ 10টি জেলায় আরও 24 ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা । ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে অসমের পরিস্থিতি।