গুয়াহাটি, 19 জুলাই : অসমে বন্যায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা । মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের । 33টি জেলার মধ্যে 26টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত । ক্ষতিগ্রস্ত 27.64 লাখ মানুষ ।
দক্ষিণ সালমারা জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে । বরপেটায় মৃত্যু হয়েছে দু'জনের । অসম স্টেট ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির(ASDMA) দৈনিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা 105 । তাদের মধ্যে ধসে মৃত্যু 26 জনের । কাজ়িরাঙা জাতীয় উদ্যানে 90টি পশুর মৃত্যু হয়েছে ।
সেখানকার মুখ্যসচিব সঞ্জয় কৃষ্ণা জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলায় কোনও সমস্যা নেই । সরকারি কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন । উদ্ধারের কাজও চলছে । কোরোনা আক্রান্ত এলাকাতেও সরকারী কর্মীরা কাজ করছেন । তিনি বলেন, "ত্রাণ তহবিল নিয়ে কোনও সমস্যা নেই । প্রতিটি জেলার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে । চিকিৎসকরা নিয়মিত ত্রাণ শিবিরে যাচ্ছেন । বন্যা দুর্গতদের চিকিৎসা করছেন । তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন । "
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত 35.76 লাখ ASDMA-র তথ্য অনুযায়ী, অসমে বন্যা কবলিত জেলাগুলি হল ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, দারাং, বক্সা, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, বনগাইগাওঁ, কোকরাঝার, ধুবরি, দক্ষিণ সালমারা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, মরিগাওঁ, নাগাওঁ, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, করবি আংলং, চাচার ।
আগে হোজাই ও পশ্চিম করবি আংলং জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে । বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধুবরি । সেখানে প্রায় 4.69 লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত । গোয়ালপাড়াতে সংখ্যাটি 4.49 লাখ । মরিগাওঁ এবং বরপেটায় 3.5 লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত । গত 24 ঘণ্টায় 511 জনকে উদ্ধার করা হয়েছে । প্রায় 2 হাজার 678টি গ্রাম জলের তলায় । 1 লাখ 16 হাজার 404 হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
21টি জেলায় মোট 649টি ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে । 47 হাজার 465 জন এই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে । তাদের চাল, ডাল সহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের তরফে ।