পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য ASEAN তাকিয়ে ভারতের দিকে - আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

ASEAN বৈঠকের ফাঁকে ব্যাঙ্ককে প্রধানমন্ত্রী মোদি এ বিষয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন । সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে ভারত এ বিষয়ে নতুন দাবি উত্থাপন করেছে, বাজার খোলা ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ রফার দাবিতে অনড় ভারত, বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষি করছেন কূটনীতিকরা । দিল্লি থেকে স্মিতা শর্মার প্রতিবেদন ।

ASEAN বৈঠক

By

Published : Nov 4, 2019, 7:22 PM IST

Updated : Nov 7, 2019, 10:44 AM IST

দিল্লি, 4 নভেম্বর : ভারত এবং অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (RCEP) জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেন । আশিয়ান বৈঠকের ফাঁকে ব্যাঙ্ককে প্রধানমন্ত্রী মোদি এ বিষয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন । সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে ভারত এ বিষয়ে নতুন দাবি উত্থাপন করেছে, বাজার খোলা ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ রফার দাবিতে অনড় ভারত, বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষি করছেন কূটনীতিকরা ।

RCEP হল ASEAN গোষ্ঠীভুক্ত দশটি দেশ এবং FTA ভুক্ত ছয়টি দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের প্রস্তাব । FTA তালিকাভুক্ত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ভারত, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড । যারা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনৈতিক মানচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে । 16 সদস্যের RCEP ভুক্ত দেশগুলিতে উৎপাদিত পণ্য এবং বাণিজ্য সংস্থা গোটা বিশ্ব বাণিজ্যের অর্ধেক অধিকার করে আছে ।

তাঁর প্রারম্ভিক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন, সেখানে তিনি একটিবারের জন্যও RCEP প্রসঙ্গ উত্থাপন করেননি । এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, "ভারত এবং ASEAN ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক অগ্রগতির ফলে উভয়ের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে । ASEAN এবং ভারতের মিলিত GDP 5.5 ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম লক্ষ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত করা । যাই হোক, রবিবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুৎ চ্যান-ও-চা আসিয়ান সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে এই চুক্তির গুরুত্বের কথা বলেন । তিনি বলেন, "আমরা চলতি বছরের মধ্যে RCEP কার্যকর করার জন্য আগ্রহী, এই চুক্তি কার্যকর হলে কূটনৈতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাও গতিশীল হবে ।"

জাপান, চিন এবং থাই সংবাদ মাধ্যমের খবর, ভারত বিষয়টি নিয়ে চুপ রয়েছে, কারণ তারা এর উপকারিতা বিবেচনা করছে । কৃষিক্ষেত্র থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ আসছে, বিশেষ করে অতিরিক্ত চিনা খাদ্যদ্রব্য আমদানির আশঙ্কা করা হচ্ছে । সোমবার এ বিষয়ে যৌথ বিবৃতি জারি করা হতে পারে । সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা খুব সম্ভবত চুক্তির বিষয়ে একমত হতে পারবেন না ।

Last Updated : Nov 7, 2019, 10:44 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details