দিল্লি, 24 অগাস্ট : এক মাসের মধ্যেই নক্ষত্র পতন ৷ বিদায় নিয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ৷ একজন ছিলেন মস্তিষ্ক তো আর একজন মানবিক মুখ ৷ যার বিকল্প হয়তো আর খুঁজে পাবেন না নরেন্দ্র মোদি ৷ তাই কোথাও যেন মোদি 2.0 সরকারে এই শূন্যস্থান থেকে যাবে ৷ একজনের ক্ষুরধার বুদ্ধি এবং অন্যজনের জনপ্রিয়তার অনুপস্থিতি অনুভব করতে পারবে মোদির ক্যাবিনেট ৷
বিরোধীদের রীতিমতো দিশেহারা করে দিয়ে আবার ক্ষমতায় ফিরেছে মোদি সরকার৷ 2014 অর্থাৎ প্রথমবার সরকারে মোদি মন্ত্রিসভার অন্যতম বিশ্বস্ত মুখ ছিলেন অরুণ জেটলি ৷ ঘনিষ্ঠতাও অনেকদিনের ৷ তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদি ৷ সেই সময় থেকে দু'জনের সম্পর্ক ৷ BJP-র সেই সময়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের মধ্যে একজন ছিলেন অরুণ জেটলি, যিনি মোদির মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন ৷ বুঝেছিলেন সুদূর ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেন মোদি ৷
এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : প্রয়াত অরুণ জেটলি
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে BJP-র তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার ক্ষেত্রে অরুণ জেটলির ভূমিকা ছিল অন্যতম ৷ এমন কী, এক্ষেত্রে তিনি দলের বর্ষীয়ান নেতা আদবানি ও এম এম জোশীকেও কোণঠাসা করেছিলেন বলে শোনা যায় ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, 2014 সালের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মোদির পর ক্যাবিনেটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নাম ছিল অরুণ জেটলি ৷
অরুণ জেটলির আমলেই অধিকাংশ যোজনা বাস্তবায়িত হয় ৷ জন ধন যোজনা, আধার সংযুক্তিকরণ, নোট বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া ও সেগুলিকে বাস্তবায়িত করা হয় তাঁর আমলে ৷ কঠিন পরিস্থিতি সামলাতেন সহজেই । নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন দায়ভার ৷ তা সে নোট বাতিল, GST কিংবা রাফাল চুক্তি নিয়ে চলা দীর্ঘমেয়াদি বিতর্ক হোক ৷ তখন তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন না তবুও যখনই রাফাল নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা, গর্জে উঠেছেন জেটলি ৷