লখনউ, 21 জানুয়ারি : দেশের একাধিক জায়গায় নাগরিকত্ব সংশোধনী (2019) আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে । ছাত্র-ছাত্রী, বুদ্ধিজীবী, বিরোধী দলের সদস্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, CAA-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অনেকেই । তার মাঝেই আজ লখনউয়ের ঘণ্টাঘরের সভা থেকে আরও একবার বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অমিত শাহ । স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন CAA হবেই । বলেন, আইন নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলতেই পারে ৷ কিন্তু আইন আইনের জায়গাতেই থাকবে । পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, রাহুল গান্ধি ও মায়াবতীকে বিতর্কে বসার আহ্বান জানান তিনি ৷
বিরোধীদের উদ্দেশে শাহ বলেন, "আজ এখান থেকে জানিয়ে দিলাম যে, এই আইন প্রত্যাহার করা হবে না । যে যেভাবেই প্রতিবাদ করুক না কেন । আমরা বিরোধীদের ভয় পাই না । বিরোধিতা থেকেই আমাদের জন্ম । বিরোধীরা সত্য ও বাস্তবটা দেখতে পাচ্ছে না ৷ কারণ ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির আচ্ছাদনে ওদের চোখ ঢাকা রয়েছে ।"
নাগরিকত্ব আইনের নামে মিথ্যা প্রচার হচ্ছে ৷ এই অভিযোগ এনে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টিকে শাহর কটাক্ষ," মমতা দিদি, অখিলেশ, মায়াবতী আপনাদের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছি । আমি আপানদের চ্যালেঞ্জ করছি এই আইনের এমন একটি ধারা দেখান যেখানে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ।" তাঁর আরও সংযোজন, "বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারীরা এদেশে এসেছে । সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়েছে । আলিয়া, মালিয়া, জামালিয়ারা পাকিস্তান থেকে এসে এখানে বিস্ফোরণ ঘটাত । আর মৌনি বাবা মনমোহন সিং টুঁ শব্দটিও করেননি । মোদি নাগরিকত্ব সংশোধনী নিয়ে এলেন । আর তাঁর বিরুদ্ধে রাহুল বাবা ও কম্পানি (মমতা, অখিলেশ,মায়াবতী) পুরো ব্রিগেড কাউ কাউ করছে ।"
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে শাহর বক্তব্য, "JNU-তে দেশ বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছে । আমাকে বলুন যারা ভারত মাতার হাজার টুকরো করার কথা বলে তাদের জেলে পাঠানো উচিত কি না ? দেশে যদি কেউ ভারত মাতার বিরুদ্ধে স্লোগন তোলে, তাহলে তাকে জেলে ভরে দেব ।" বিক্ষোভকারীদের শাহর জিজ্ঞাসা, "দেশভাগের সময় 30 শতাংশ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ ও জৈন ছিল বাংলাদেশে ও 23 শতাংশ ছিল পাকিস্তানে । কিন্তু আজ এই জনসংখ্যার পরিমাণ যথাক্রমে 7ও 3 শতাংশ । এই মানুষগুলো কোথায় গেছে ? যারা CAA-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, আমি তাদের একথা জিজ্ঞেস করতে চাই ।"