দিল্লি, 8 এপ্রিল : সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলি মনোহর যোশিকে টিকিট দেয়নি দল। আদবানির গান্ধিনগর থেকে প্রার্থী হয়েছেন স্বয়ং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। অন্যদিকে, যোশির কানপুর আসন থেকে লড়বেন সত্যদেব পাচাওরি। রাজনীতির অলিন্দে গুঞ্জন চলছে, দলের এই সিদ্ধান্তে নাকি ক্ষুব্ধ এই দুই বর্ষীয়ান নেতা। এমনই এক পরিস্থিতিতে আজ আদবানি ও যোশির সঙ্গে দেখা করলেন অমিত শাহ। দুই নেতার মানভঞ্জনের জন্যই এই সাক্ষাৎ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আজ ইস্তাহার প্রকাশ করেছে BJP। উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, রাজনাথ সিং-এর মতো দলের শীর্ষনেতারা। তবে দেখা যায়নি আদবানি, যোশিকে। শোনা যাচ্ছিল, ইস্তাহার প্রকাশের আগেই নাকি তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন অমিত শাহ। বর্ষীয়ান দুই নেতার হাতে তুলে দেবেন ইস্তাহারের প্রতিলিপি। কিন্তু, তা হয়নি। ইস্তাহার প্রকাশের প্রায় কয়েকঘণ্টা পর, আজ সন্ধ্যায় তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অমিত শাহ।
BJP সূত্রে খবর, অমিত শাহ নাকি আদবানি ও মুরলি মনোহর যোশিকে জানিয়েছেন, এবার দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, 75 বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছেন, তাঁদের প্রার্থী করা হবে না।
তবে এবারই প্রথম নয়। গতমাসে লালকৃষ্ণ আদবানিকে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, তাঁর ছ'বারের জেতা আসন গান্ধিনগর থেকে এবার প্রার্থী হবেন অমিত শাহ। অন্যদিকে, মুরলি মনোহর যোশিকেও দলের তরফে জানানো হয়, শুধু কানপুর নয়, অন্য কোনও আসনেই তাঁকে প্রার্থী করা হবে না।
ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দু'জনেই। একসময় তাঁরা দলের নিয়ন্ত্রক ছিলেন। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশই সামনে থেকে পেছনের সারিতে চলে গিয়েছেন আদবানি ও যোশি। সূত্রের খবর, দলের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু, প্রকাশ্যে কখনই মুখ খোলেননি আদবানি। তবে নিজের ব্লগে এবিষয়ে লিখেছিলেন, সমালোচক হলেই কেউ দেশ-বিরোধী বা শত্রু হয়ে যায় না। ব্যাস এইটুকুই। তাই কি আর দেরি না করে বর্ষীয়ান নেতাদের অভিমান ভাঙাতে তৎপর হয়েছে দল ? পাঠানো হয়েছে স্বয়ং অমিত শাহকে ? নির্বাচনের আগে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অলিন্দে।