ইন্দোর, 15 এপ্রিল: অমিল অ্যাম্বুলেন্স, স্কুটারে হাসপাতাল পৌছালেও শেষ রক্ষা হল না ৷ মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হল সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পারার কারণে ৷ মৃত দুই ব্যক্তিই কোরোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে ৷
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরের বারওয়ালি চৌকি এলাকায় ৷ কোরোনা সংক্রমিত এই এলাকার বাসিন্দা 60 বছরের পান্ডু চান্দানের সোমবার শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানে তাঁকে পরীক্ষা করে কিছু ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ তবে পরদিনই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের লোক অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করেন কিন্তু কেউ হাসপাতাল নিয়ে যেতে রাজি হয়নি ৷ নিরুপায় হয়ে পরিবারের লোক স্কুটারে চাপিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন ৷ মহারাহা যশবন্ত রাও হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৷
পরিবারের তরফে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে ইন্দোরের মুখ্য স্বাস্থ্য অফিসার ডঃ প্রবীন জাডিয়া বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি সোমবার হাসপাতালে এসেছিলেন ৷ সেইদিনই তিনি বাড়ি ফিরে যান ৷ মঙ্গলবার প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তাঁর পরিবারের লোকজন ৷ সেখান থেকে আমাদের হাসপাতালে রেফার করা হয় ৷ যখন নিয়ে আসা হয়, ততক্ষণে তিনি মারা গিয়েছিলেন ৷’’
হাসপাতালের সুপার পি এস ঠাকুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান মৃত ব্যক্তির পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কোরোনা পরীক্ষার জন্য ৷
দ্বিতীয় ঘটনাটি খান্ডয়া জেলার খড়কপুরা অঞ্চলে ঘটে ৷ শেখ হামিদ (65) নামক এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে তৎপর হয় পরিবার কিন্তু কোনও গাড়ি না পাওয়ায় তাঁকেও স্কুটারে করেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে চিকিৎসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ তিনি বহুদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপ ও মধুমেহ রোগে ভুগছিলেন ৷
লকডাউনের মাঝেই ইন্দোরে পরপর দুই ব্যক্তির বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অরুণ যাদব মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে তোপ দেগে বলেন, ‘‘শিবরাজ সিংজি, আপনি যত ইচ্ছে নিজের প্রশংসা করতে পারেন কিন্তু দয়া করে আপনার স্বপ্নের শহর ইন্দোরের এই ভিডিয়োটি দেখুন, যেখানে একজন রোগী চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতালে ঘুরলেন অথচ কোনও অ্যাম্বুলেন্স পেলেন না ৷ মিলল শুধু মৃত্যু ৷ তাঁর দেহ স্কুটারে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷’’
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কোনও উত্তর না দিলেও BJP মুখপাত্র রজনীশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘কোনও তথ্য ছাড়াই আগ বাড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস রয়েছে কংগ্রেসের ৷ যেকোনও মৃত্যুই দুঃখজনক ৷ সরকার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ৷’’