কোঝিকোড়, 8 অগাস্ট : অবতরণের সময় পিছলে গিয়েছিল বিমানের চাকা । তারপর খাদে পড়ে দুই টুকরো হয়ে যায় । মৃত্যু হয় পাইলটসহ অন্ততপক্ষে 18 জনের । কিন্তু টেবিলটপ রানওয়েতে অবতরণের আগে আরও দুইবার অবতরণের চেষ্টা করেছিল বিমানটি । সফল হয়নি । কার্যত প্রতিকূল আবহাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির ফলেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল । তাই শেষ পর্যন্ত কোঝিকোড় টেবিলটপ রানওয়েতেই অবতরণ করতে হয় ।
আবহাওয়া র্যাডারের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমবার রানওয়ে 28-এ বিমান অবতরণের চেষ্টা করেন পাইলট । কিন্তু, সমস্যার মুখোমুখি হন । সেখান থেকে দু'বার ফিরে যায় বিমানটি । এরপর বিপরীত দিক থেকে রানওয়ে 10-এ আসে । সর্বোচ্চ গতিতে ছিল বিমানটি । রানওয়ের শেষপ্রান্তে এসেও গতি নিয়ন্ত্রণ হয়নি । শেষে খাদে পড়ে যায় । সেখানেই দুই টুকরো হয়ে বিমানটি ভেঙে যায় ।
ঘটনা স্থানে পৌঁছায় দুইটি উদ্ধারকারী দল বন্দে ভারত মিশনে দুবাই থেকে কালিকট ফিরছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস IX-1344, B 737। পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন দীপক শাঠে । 2005 সাল থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি । দীর্ঘ অভি়্জ্ঞতা ছিল তাঁর । প্রথমেই তাই টেবিলটপ রানওয়েতে বিমানের অবতরণ করতে চাননি । কারণ, টেবিলটপ রানওয়েতে অবতরণ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু কেন ? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মালভূমি বা পাহাড়ের মাথায় তৈরি হয় টেবিলটপ রানওয়ে । এক্ষেত্রে রানওয়ের চারদিকে গভীর খাদ থাকে । একটু এধার ওধার হলে খাদে গিয়ে পড়বে বিমান । রানওয়ের দৈর্ঘ্যও অনেক বিমানবন্দরের থেকে কম হয় ।কোঝিকোড় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও অনেকটা এরকমই ঘটে । বারবার চেষ্টার পরেও শেষরক্ষা হয়নি । দু'টুকরোতে ভেঙে যায় বিমান । পাইলট দীপক শাঠে এবং কো-পাইলট অখিলেশ কুমারেরও মৃত্যু হয় । দীপক এবং অখিলেশসহ মোট 18 জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত ।
খাদে পড়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়া বিমান গত সন্ধেয় 7টা 40 মিনিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান । জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধারকাজ শুরু হয় । জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয় । এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, "184 জন যাত্রী ছিলেন । ছয়জন বিমানকর্মী ছিলেন । পাইলটদের মৃত্যু হয়েছে । আমরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি । "
অবতরণের সময় সর্বোচ্চ গতিতে ছিল বিমানটি