আহমেদাবাদ, 13 এপ্রিল : সংক্রমণের ভয় ও লকডাউনের জেরে আপাতত গৃহবন্দী সাধারণ মানুষ । খুব প্রয়োজন না হলে কেউ বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না । এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাঁরা তাঁদের সচেতন করছেন, সেই পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানালেন আহমেদাবাদের শাহ-ই-আলম এলাকার মানুষজন । পুলিশকর্মীদের উপর পুষ্পবৃষ্টি করে ও হাততালি দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো হল।
লকডাউন : আহমেদাবাদে পুলিশকর্মীদের উপর পুষ্পবৃষ্টি
এ এক অন্য চিত্র । মারধর, হাত কেটে নেওয়া বা ইট ছোড়ার একদম উলটো । লকডাউনে সাধারণ মানুষের সেবায় যাঁরা কাজ করছেন সেই সব পুলিশকর্মীকে মারধর নয়, হাততালি দিয়ে, ফুল ছড়িয়ে সম্মান জানালেন আহমেদাবাদের শাহ-ই-আলম এলাকার মানুষজন ।
লকডাউনের 20 নম্বর দিন । সাধারণ মানুষ গৃহবন্দী হলেও রেহাই নেই জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের । কোরোনা ভয় কাটিয়েই দিন-রাত মানুষের সেবা করছেন তাঁরা । এই 20 দিনে নানান ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের । বিশেষ করে মানুষকে ঘরমুখী করতে রীতিমতো লড়তে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে । কোথাও ইটবৃষ্টি, কোথাও পুলিশকর্মীর হাত কেটে নেওয়া, কোথাও তাঁদের গায়ে থুতু ছিটিয়ে দেওয়া তো কোথাও মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে । তবে , আহমেদাবাদের এ চিত্র আলাদা । যাঁরা পরিবার ছেড়ে মানুষের ভালোর জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করছেন, তাঁদের সম্মান জানালেন আহমেদাবাদের মানুষজন । বোঝালেন এই মানুষগুলি না থাকলে এতটা ভালোও বোধহয় থাকা যেত না ।
জনতা কারফিউর দিন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের কাজকে, পরিশ্রমকে সম্মান জানানোর জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী । সেই রবিবার গোটা দেশ এক হয়ে জরুরি পরিষেবায় যুক্ত মানুষকে স্যালিউট জানিয়েছিল। কিন্তু তারপর, চিত্রটা পালটায় । নিজেদের কাজে বাধা পেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন বহু মানুষ । একে একে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যখন পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের উগ্রতার মনোভাব সামনে আসছে, ঠিক তখনই এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল একাংশ মানুষ সচেতন, কৃতজ্ঞও।