জয়পুর, 15 জুলাই : রাজস্থানের প্রতিটি শিশুও জলের মূল্য জানে । এবং সামান্য একটু জল পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয় তাঁদের । সেখানে একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, "যদি আপনি জলের মূল্য বুঝতে চান, তবে রাজস্থানে গিয়ে থাকা শুরু করুন । "
জয়পুরের জোবনার এলাকার মানুষ 25 বছর ধরে জলসংকটে রয়েছেন । এমনকী শ্রী করণ নরেন্দ্র এগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় জলের যোগানের জন্য ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করেছিল । বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ব্যবস্থায় কর্তৃপক্ষ লাভবান হবে না, কিন্তু পাশের এলাকাগুলি সাহায্য পাবে ।
রাজ্যের পশ্চিমের অঞ্চলের বাসিন্দাদের সামান্য জলের জন্য অনেক কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয় । কিন্তু রাজ্যের অনেক জায়গাকে ইতিমধ্যেই 'ডার্ক জ়োন' হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে । জোবনার এলাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে চলেছে । জলস্তর সেখানে ক্রমশ কমছে ।
সংরক্ষণের দ্বারা জলস্তর বাড়ানো
ভারতের সব থেকে পুরনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজস্থানে রয়েছে । শ্রী করণ নরেন্দ্র এগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় নামেও পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয় । এখানকার অনেক ছাত্র-ছাত্রী কৃষিকাজ নিয়ে পড়াশোনা করেন । বিশ্ববিদ্যালয়টি দীর্ঘ বছর ধরে জলসংকটে ।
1995 সাল থেকে জল ট্যাঙ্কার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি । তবে এখন শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় স্থানীয় এলাকাগুলিও জলসংকটে । তবে এই সংকট মোকাবিলায় সব সময় চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় । তাদের ব্যবস্থাপনায় ইতিমধ্যেই জলস্তর 50 ফুট বেড়েছে ।
1985 সাল পর্যন্ত জলের কোনও সংকট ছিল না এই এখানে । কিন্তু তারপর থেকেই জলস্তর নামছে । 1995-এ জল প্রায় শেষই হয়ে যায় । 25 বছর ধরে জল সংকটের সঙ্গে মোকাবিলা করছে তারা ।