পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

FPO-কে শক্তিশালী করতে কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামো তহবিলের প্রয়োজন

AIF-এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ফসল ফলনের পরের প্রক্রিয়ার জন্য বিনিয়োগ টানার ব্যবস্থা করা । কৃষিক্ষেত্রে ফসল ফলনের পর তা মজুত, প্রক্রিয়াকরণের জন্য এই তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে । ওই তহবিলের সাহায্যে ন্যূনতমহারে FPO গুলিকে এবং অন্য উদ্যোগপতিদের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । FPO গুলিকে শক্তিশালী করতে AIF-এর প্রয়োজনীয়তা কোথায় তা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন পরিতালা পুরুষোত্তম ৷

Agriculture Infrastructure Fund to Strengthen FPOs
Agriculture Infrastructure Fund to Strengthen FPOs

By

Published : Sep 2, 2020, 11:48 AM IST

2020 সালের 9 অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী 1 লাখ কোটি টাকার কৃষি পরিকাঠামো তহবিল (AIF)-এর সূচনা করেন । কৃষিক্ষেত্রে ফসল ফলনের পর তা মজুত, প্রক্রিয়াকরণের জন্য এই তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে । যে কাজ সাধারণত ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশনস (FPOs) করে থাকে । ওই তহবিলের সাহায্যে প্রাইমারি এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি (PACs)-র মাধ্যমে ন্যূনতমহারে FPO গুলিকে এবং অন্য উদ্যোগপতিদের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের সহায়তার জন্য পুরো কাজটি করবে NABARD ।

ফসল ফলনের পর পুরো প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার 3 শতাংশ হারে ঋণের ব্যবস্থা করে পুরো খরচ বহন করবে । ঋণ নিয়ে তা দিতে না পারলে তারজন্য 2 কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ককে গ্যারেন্টি দেওয়ার ব্যবস্থাও করবে কেন্দ্র । ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থাগুলির জন্য 2 কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা করার জন্য এই কাজ করা হবে ক্রেডিট গ্যারেন্টি ফান্ডের মাধ্যমে ।

AIF-এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ফসল ফলনের পরের প্রক্রিয়ার জন্য বিনিয়োগ টানার ব্যবস্থা করা । কারণ, কৃষি সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ফসল ফলনের পরের প্রক্রিয়াটা খুবই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে । 3 শতাংশ হারে ঋণ নিয়ে গুদাম ঘর, বাছাই করার জায়গা, হিমঘর প্রকল্প, পাকা জায়গা ও ই-মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।

কৃষিজাত বাজারকে সঠিক দিশা দেখাতে এই তহবিল গড়ে তোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ । কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে কৃষিজাত বাজারের আইনি কাঠামো তৈরি করতে তিনটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল । কৃষিজাত বাজারের ক্ষেত্রে কিছু উদারীকরণ করার জন্যই ওই কাজ করা হয়েছিল । ওই তিন অধ্যাদেশের মাধ্যমে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে সংশোধন করা হয় । তাতে কৃষকদের ছাড় দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল APMC মান্ডিগুলির বাইরেও বিক্রি করতে পারেন । আর কৃষক, প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারী ও বিক্রয়কারীর মধ্যে কৃষি সংক্রান্ত চুক্তিতেও উৎসাহ দেওয়া হয় । কৃষিজাত বাজারকে সঠিক দিশা দেখাতে আইনি কাঠামোয় বদল করা জরুরি ছিল । কিন্তু তা পর্যাপ্ত ছিল না । ফসল ফলনের পরের ব্যবস্থার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা ততটাই গুরুত্বপূর্ণ, যতটা জরুরি আইনি কাঠামোয় বদল আনা । AIF, এই শূন্যস্থান পূরণে সাহায্য করবে । এটা কতটা দ্রুত এবং কতটা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে, তার উপর এর ইতিবাচক প্রভাব নির্ভর করছে । তাছাড়া কেন্দ্রের দ্বারা করা এই সংস্কার বাস্তবায়িত করতে রাজ্যগুলি, FPO গুলি এবং সংস্থাগুলি কী করছে, তার উপরও এর ইতিবাচক প্রভাব নির্ভর করছে ।

যেহেতু NABARD আরও 10 হাজার FPO তৈরির দায়িত্বে রয়েছে । তাই তাদের তরফে একটি প্যাকেজ তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে এই FPO গুলি আরও ভালো দাম পেতে পারে । এর মধ্যে কিছু অনুপস্থিত উপাদানও রয়েছে । ফসল ফলনের ঠিক পরেই দাম সাধারণত কম থাকে । কিন্তু সেই সময় কৃষকরা বাধ্য হন উৎপাদিত ফসল কম দামে বিক্রি করে দিতে । ফলে আরও বেশি এবং আরও ভালো মজুত করার ব্যবস্থা যে কৃষকদের কম দামে উৎপাদিত ফসল বিক্রি আটকে দিতে পারবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই । কিছু ক্ষুদ্র চাষিদের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে ফসল মজতু করে রাখা সম্ভব নয় । কারণ, পরিবারের খরচ চালানোর জন্য তাঁদের অর্থের প্রয়োজন । ( ভারতে 126 মিলিয়ন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামার রয়েছে । এখানে সব মিলিয়ে 74 মিলিয়ন হেক্টর কৃষিজমি রয়েছে । আর তা কৃষিজমির গড় আয়তনের 0.58 হেক্টর । ) জমির আকার ছোট হওয়ায় তাঁদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় । তার মধ্যে রয়েছে বাজার ও টাকা জোগানের অভাব ।

আলোচনাযোগ্য হিমঘর রসিদ ব্যবস্থার মাধ্যমে FPO গুলির দাম বাড়ানো যেতে পারে । বর্তমান বাজার দরের উপর নির্ভর করে FPO গুলি কৃষকদের ফসলের দামের 75 থেকে 80 শতাংশ অগ্রিম হিসেবে দিতে পারে । কৃষকরা যে ফসল ফলাবে, তার উপর ভিত্তি করে কৃষকদের অগ্রিম দিতে গেলে FPO গুলির মূলধনের পরিমাণও অনেক বেশি হতে হবে । যেভাবে কৃষকদের ফসলের জন্য ঋণ দেওয়া হয়, সেই ভাবে যতক্ষণ না পর্যন্ত NABARD FPO গুলির মূলধন 4 থেকে 7 শতাংশ সুদের হারে ব্যবস্থা করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে হিমঘর তৈরি করেও কোনও লাভ হবে না । বর্তমানে FPO গুলি তাদের মূলধন জোগাড়ের জন্য ঋণের বেশিরভাগটাই বছরে 18 থেকে 22 শতাংশ সুদের হারে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলির থেকে নেয় । এই হারে ঋণ নিলে ফসল মজুত করে রাখা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয় । যদি না ফসল উৎপাদনের সময় যে বাজারদর থাকে, অন্য সময় তার থেকে অনেকটাই বেশি হয় ।

(2020 সালের 17 অগাস্ট ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রক (MSME) একটি অনলাইন Farm-to-Fork পরিষেবার সূচনা করে । যে পরিষেবায় vedkrishi.com-এর মাধ্যমে নাগপুরের একটি FPO সরাসরি বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, সবজি, শস্য ও ডাল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে । তারা আচার, জুস, সস ইত্যাদিও বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে । ওই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে FPO টি গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি কৃষকদের যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছে । নথিভুক্ত গ্রাহকরা এক বছরের জন্য আগে থেকেই তাঁদের অর্ডার দিয়ে দিতে পারবেন । এছাড়া এর মাধ্যমে অন্য কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে চাষিরা জৈব পদ্ধতিতে চাষবাস করছেন । পোর্টালে যে পণ্যের তালিকা দেওয়া রয়েছে, তার মাধ্যমে গ্রাহকরা কোনও কিছু কেনার সময় চাষিদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন । এছাড়া FPO কৃষিকাজে প্রয়োজনীয়, কম্পোস্ট, বায়ো ফার্টিলাইজার, কীটনাশকের সমাধান ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্যও দিয়ে দিচ্ছে । বর্জ্যশূন্য ও সুবিধাজনক ভাবে শুকনো করার জন্য তারা সোলার ড্রায়ারেরও ব্যবস্থা করছে । বিজ্ঞান ও অর্থনীতির মেলবন্ধন ঘটিয়ে কৃষকদের ভালোর জন্য খরচ কমাতে, পণ্যের গুণমান বৃদ্ধি করতে এবং উন্নতি কৃষি প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষকদের পথ দেখাতে ও নজরদারি করার জন্য FPO উদাহরণ হিসেবে থাকতে পারে । )

NABARD-কে এমন একটা বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে FPO গুলি আলোচনাযোগ্য হিমঘর রসিদ ব্যবস্থা তৈরি করতে পারে । আর ভবিষ্যতে কৃষিতে বাজার সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে ব্যবস্থা নিতে পারে ।

দ্বিতীয়ত, সরকারি সংস্থাগুলিকে পণ্য বাজারে প্রবেশ করতে হবে । দ্য ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI), ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো অপরাটিভ মার্কিটং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (NAFED), স্টেট ট্রেডিং কর্পোরেশন (STC)-কে কৃষির ভবিষ্যতের বাজারে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে । এই ভাবেই চিন তাদের কৃষির ভবিষ্যতের বাজারের উপর নির্ভরশীল ।

তৃতীয়ত, যে সমস্ত ব্যাঙ্ক FPO গুলি ও অন্য ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়, তাদেরও পণ্যের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করতে হবে । যাতে কৃষিজাত বাজারের ভালো উন্নতির জন্য পুনর্বিমার ব্যবস্থা করা যায় ।

শেষ পর্যন্ত, সরকারের নীতি আরও স্থিতিশীল ও বাজারের পক্ষে ভালো এমন যেন হয় । অতীতে এতে অনেক বিধিনিষেধ ছিল । আর তা ছিল অনিশ্চিত । কৃষির ভবিষ্যতের উপর নিষেধাজ্ঞার জন্য কৃষিজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেত । অনুমানের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় নীতি নির্ধারকরা কৃষির ভবিষ্যতের বাজারকে দেখত । এই বাজারকে যে কোনওরকম অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি বা কমে যাওয়ার জন্য দায়ী করা হত । দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের নীতি নির্ধারকরা সঠিক দাম খুঁজে বের করার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করত না । কৃষির ভবিষ্যতের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে বা তা স্থগিত করে দিয়ে দামের বার্তাকেও মেরে দেওয়া হচ্ছিল । ফলে বিষয়টা খানিকটা অন্ধকারে তির ছোঁড়ার মতো হয়ে যাচ্ছিল । অনেক সময় তারা নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারছিল ।

মূল বিষয়টি হল ভারতকে কেবলমাত্র যে কৃষি-বাজারকে একত্রিত করতে হবে (একটি দেশ, একটি বাজার) শুধু তাই নয়, সাময়িকভাবে তাদের সংহতও করতে হবে । তাৎক্ষণিক এবং ভবিষ্যতের বাজারগুলিকে একত্রিত করতে হবে । তবেই ভারতীয় কৃষকরা তাঁদের উৎপাদনের সর্বোত্তম মূল্য উপলব্ধি করতে পারবেন এবং বাজারের ঝুঁকিগুলি এড়িয়ে চলতে পারবেন ।

এখন এটি উপলব্ধ করা গেছে যে প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকরা যে পণ্য ও আর্থিক বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাগুলির মুখোমুখি হন, তা কৃষকদের গোষ্ঠী গঠন করে এবং তারপরে এই গোষ্ঠীগুলিকে একটি সুসংহত সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে একত্রিত করে ও সমস্ত কুশীলবদের এক জায়গায় এনে তা কমানো যেতে পারে । এখনও অবধি, বিভিন্ন সংস্থা দ্বারা দেশের 7 হাজার ফারমার প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন (FPO)-কে তুলে ধরেছে ।

কৃষিকাজ, সহযোগী খাতে সংগ্রহের স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ

যেহেতু একটি জেলা, একটি পণ্য (ODOP) এই স্লোগানের সঙ্গে 10 হাজার নতুন FPO-র প্রচারের প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে । তাই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় এবং আরও বেশি সংখ্যক দীর্ঘমেয়াদী গোষ্ঠী তৈরি করার জন্য কিছু প্রোটোকল অনুসরণ করা প্রয়োজন । SFAC (স্মল ফার্মার্স এগ্রিবেসড কনসোর্টিয়াম)-এর মাধ্যমে তহবিল বাড়ানো ছাড়াও এই প্রকল্পের সবচেয়ে ভালো দিক হল NABARD ও NCDC (জাতীয় সমবায় উন্নয়ন কর্পোরেশন)-এর মাধ্যমে ঋণ সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পের দ্বারা তহবিল গঠন । এই প্রকল্পটি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি FPO গুলির সহায়তা পেতে পারে এগ্রি মার্কেট ইনফ্রাস্টাকচার ফান্ড (AMIF) থেকে । আর তা বিপণন এবং খামার-স্তরের মূল্য সংযোজন পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কাজে লাগাতে পারে ।

কৃষকদের শোষণ রক্ষার জন্য সরকার কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার । আমাদের দেশের কৃষককে অবশ্যই কম টাকায় উন্নতমানের সামগ্রী দেওয়া উচিত ।

এখানে 3 টি উন্নত কৃষি প্রযুক্তি কথা বলা হল, যা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত :

আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (AI) : মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা এবং মধ্য প্রদেশের মতো ডজন খানেক রাজ্যের কৃষকরা ফসলের ফলন বাড়াতে ইতিমধ্যে AI (আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স)-এর ব্যবহার শুরু করেছেন । মাটির স্বাস্থ্য নিরীক্ষণ এবং অন্য কৃষিকাজ যেমন ফসল কাটাতেও এগ্রিকালচারাল রোবটের ব্যবহার করা হচ্ছে । মেশিন লার্নিং মডেলের মাধ্যমে আবহাওয়ার পরিবর্তনের মতো পরিবেশগত প্রভাবগুলির উপর নজর রাখা এবং পূর্বাভাস দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে ।

অটোপাইলটে ট্র্যাক্টর : নাম পড়েই বিষয়টির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে । এক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ভাবে একটি খামার যান ধীর গতিতে কৃষি কাজ সম্পাদন করে উন্নত মানের পরিষেবা দিচ্ছে । GPS প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এই ধরনের ট্র্যাক্টরগুলিকে তাদের অবস্থান, গতি নির্ধারণ এবং চাষের মতো বিভিন্ন কৃষি সংক্রান্ত কাজ করানো যায় । আর টিলেজের মতো বিভিন্ন ধরনের কাজ করানোর সময় অনেক বাধাও এড়ানো যায় ।

BOX – FPO গুলির অবশ্যই উন্নতমানের প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া উচিত ।

(ছোট কৃষকদের জন্য ডিজিটাল ডেয়ারি – আমূলের সাফল্য)

আমূল ডেয়ারি (দেশের সবচেয়ে বড় FPO)- গবাদি পশুদের কৃত্রিম গর্ভধারণের জন্য ডিজিটাইজেশনের বাস্তবায়ন করেছে । কয়রা জেলা দুধ উৎপাদক সমবায় সমিতি (আমূল ডেয়ারি)-তে প্রয়োগের প্রাথমিক সাফল্যের পর, আমূল ডেয়ারি মিল্কশেডের অধীনে থাকা 1200 গ্রাম স্তরের দুধ উৎপাদক সমিতিকে এই ডিজিটালাইজেশনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে ।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গবাদি পশুর কৃত্রিম গর্ভধারণ (AI) সম্পর্কে মালিক ও সমবায়ের কাছে মোবাইল ফোনে দ্রুত এবং সময়োপযোগী সতর্কতা সরবরাহ করা হয় । সদস্যকে তার গবাদি পশুর AI করানোর জন্য আমূল কল-সেন্টারে নাম নথিভুক্ত করাতে হয় ।

দুগ্ধ সমাজ দ্বারা নির্ধারিত কৃত্রিম গর্ভধারণ প্রযুক্তিবিদ দুধ উৎপাদকের তথ্য সহ একটি বার্তা পান । আর তার পরবর্তী প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে শুরু হয় । প্রযুক্তিবিদ প্রাণীটিকে দেখতে যান । আর কৃত্রিম গর্ভধারণ সম্পন্ন হওয়ার পরে সমস্ত তথ্য মোবাইলে আপডেট করা হয়, যা আমূল কল-সেন্টার এবং দুধ উৎপাদনকারীর কাছে পৌঁছে যায় ।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশুর গর্ভাবস্থা নির্ণয়ের বিষয়ে অবহিত করা হয় । ন'মাস পরে বাছুরের জন্ম তারিখ, লিঙ্গসহ সমস্ত তথ্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটিতে নথিবদ্ধ করা হয় ।

দুধ উৎপাদকের আর আলাদা করে কোনও রেকর্ড রাখার দরকার পড়ে না । কারণ, সমস্ত তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমূল ডেয়ারির কাছে সংরক্ষিত থাকে । কৃত্রিম গর্ভধারণের ডিজিটাইজেশন দুধ উৎপাদকদের তাৎক্ষণিক পরিষেবা সরবরাহ করে । পাশাপাশি দুগ্ধ দেওয়া গবাদি পশুগুলির তথ্যও সফটওয়্যারে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা বিশ্লেষণ করা যেতে পারে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details