দিল্লি, 10 এপ্রিল : ব়্যান্ডম টেস্ট যত বেশি করে করা হচ্ছে ততই এমন কিছু মানুষের দেহে ভাইরাসের হদিস পাওয়া যাচ্ছে যারা আগে কোনওদিন বিদেশে যায়নি, বা সংক্রমিত কারও সংস্পর্শেও আসেনি । ICMR প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে, দেশে এইমুহূর্তে যতজন সংক্রমিত হয়েছে, তাদের 38 শতাংশ কোনওদিনে বিদেশে যায়নি ।
তাহলে কি ধীরে ধীরে বাড়ছে কমিউনিটি ট্র্যান্সমিশনের সম্ভাবনা ? কী বলছে ICMR?
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ICMR-এর তরফে জানানো হয়েছে, এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই । শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে যেসব মানুষের শরীরে ভাইরাসের হদিস মিলেছে, তাদের কেউই কমিউনিটি ট্র্যান্সমিশনের শিকার নন ।
কমিউনিটি ট্র্যান্সমিশন শুরু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে যে কোনও ব্যক্তির শরীরে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা থাকলেই তাদের ব়্যান্ডম টেস্ট করছে ICMR । তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও কিছু চোখে পড়েনি ICMR আধিকারিকদের । এখনও পর্যন্ত যাদের শরীরে ভাইরাসের হদিস পাওয়া গেছে, তাদের সকলেই হয় সংক্রমিত কোনও স্থান থেকে ফিরেছেন, বা সংক্রমিত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন ।
বাকি দেশগুলির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সংক্রমণ ছড়াতে ছড়াতে এমন একটা সময় আসে যখন সংক্রমণটা ঠিক কীভাবে ছড়াচ্ছে, কার শরীর থেকে ছড়াচ্ছে তা বুঝতে পারা যায় না । এই পর্যায়টাই হল স্টেজ থ্রি বা কমিউনিটি ট্র্যান্সমিশন ।
ICMR-এর চিন্তা বাড়তে শুরু করে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে । 15 মার্চ থেকে 21 মার্চের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে এমন 106 জনকে পরীক্ষা করে দুইজনের শরীরে পাওয়া যায় ভাইরাসের হদিস । এরপরই বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করে ICMR । 22 মার্চ থেকে 28 মার্চের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে এমন আরও 2877 জনকে পরীক্ষা করা হয় । এদের মধ্যে 48 জনের (1.7 শতাংশ) শরীরে মেলে ভাইরাসের সংক্রমণ । 29 মার্চ থেকে শুরু করে 2 এপ্রিল পর্যন্ত আরও 2069 জনকে পরীক্ষা করা হয়, যাদের মধ্যে 54 জনের (2.6 শতাংশ) শরীরে মেলে ভাইরাসের হদিস ।
সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে এমন মোট প্রায় ছয় হাজার মানুষকে পরীক্ষা করে 104 জনের শরীরে মিলিছে ভাইরাসের হদিস । এদের মধ্যে 40 জন এমন রয়েছে, যারা সম্প্রতি বিদেশে যাননি । দেশের 15 টি রাজ্যের মোট 36 টি জেলা থেকে এমন সংক্রমণের হদিস পাওয়া গেছে ।