দিল্লি, 19 অক্টোবর : এই ক'দিনে তাঁর চিন্তাভাবনা নিয়ে একের পর এক সমালোচনা হয়েছে ৷ তাঁর ভাবনা যে কেন্দ্রের ভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত সেটাও অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে৷ একাধিক মতবিরোধ, রাজনৈতিক আদর্শের টানাপোড়েনের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ 22 অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাঁর ৷
রাতারাতি নোট বাতিলের সাক্ষী হয়েছিল দেশ৷ বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হলেও মোদির এই পদক্ষেপ তৎকালীন সময়ে সাহসী হিসেবও তকমা পেয়েছিল ৷ কিন্তু অর্থনীতিবিদ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সেই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন৷ বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি৷ নোবেল পাওয়ার পর অভিজিৎ বলেন, "ভারতের অর্থনীতির অবস্থা নড়বড়ে ৷ এখনকার বৃদ্ধির হারের তথ্য দেখে অদূর ভবিষ্যতে অর্থনীতি কবে ঘুরে দাঁড়াবে তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারা যাচ্ছে না ৷" অভিজিতের বক্তব্য, গত পাঁচ-ছয় বছরে কিছুটা আর্থিক বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছিল ৷ কিন্তু, সেই নিশ্চয়তা এখন চলে গেছে ৷" সময় যত এগিয়েছে অভিজিতের ভাবনার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে কেন্দ্রের ৷ নোবেল পাওয়ার পরও পরিস্থিতি বদলায়নি ৷
গত কয়েক বছরে দেশের অর্থনীতির গতি অনেকটা ধীর হয়ে গেছে । দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ চলতি আর্থিক বছরের শুরুতেই দেশের GDP তথা আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়ায় 5 শতাংশ ৷ যা গত 6 বছরে সর্বনিম্ন ৷ এ বিষয়ে অভিজিৎ বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার দেশে একটি অর্থনৈতিক ঘাটতি তৈরি করেছে ৷ সেটি সামাল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা এবং আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা ধরে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার , এটিই প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে ৷ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷ আর্থিক চাহিদাই দেশের অর্থনীতির এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা ৷ ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ কী, সে বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না ৷ কিন্তু ভারতের বর্তমান অর্থনীতি যে দুর্বল তা স্পষ্ট ৷ "