দিল্লি, 13 জানুয়ারি : JNU-তে হস্টেল হামলায় মুখ ঢাকা মহিলাকে শনাক্ত করল দিল্লি পুলিশ ৷ তবে সে JNU- পড়ুয়া নয় ৷ তাকে 5 জানুয়ারি JNU ক্যাম্পাসে হামলা চলাকালীন অপর দু’জন মুখ ঢাকা ব্যক্তির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ৷ স্পেশাল তদন্তকারী দলের (SIT) -র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই নোটিস দিয়ে ওই পড়ুয়াকে তদন্তের জন্য ডাকা হবে ৷ তার কাছ থেকে অন্য দুই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করা হবে ৷
SIT-এর প্রধান ও দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কনিশনার জয় তিরকে জানান, ''ওই ছাত্রী দৌলত রাম কলেজের ৷ তদন্তে আমরা জানতে চাইব, এই দিনের হামলার ঘটনায় তাঁর কী ভূমিকা ছিল ৷''
JNU-র ছাত্র-ছাত্রীরা ও শিক্ষকরা অভিযোগ করেছিলেন মুখ ঢাকা ওই মহিলা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা ABVP-র সদস্যা ৷ যদিও SIT-র পক্ষ থেকে ওই মহিলার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কোনও মতামত করা হয়নি ৷
AVBP-র দিল্লির সম্পাদক, সিদ্ধার্থ যাদব বলেন, ‘‘ সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়োতে যে মহিলার ছবি দেওয়া হয়েছে এবং নাম নেওয়া হচ্ছে, আমরা আগেই জানিয়েছি ওই নামে আমাদের এক জন সদস্যা আছে ৷ কিন্তু দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে ওই মহিলার পরিচয় নিয়ে এখনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি ৷ আমরা তাই বলতে পারি না ওই পড়ুয়া এবং ABVP-র সদস্যা, একজনই ৷’’
ঘটনার ভিডিয়ো, ছবি ও 40 জন প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য অনুযায়ী কমপক্ষে 55 জনকে ওই দিনের ঘটনায় শনাক্ত করা হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে JNUSU-র সভাপতি, আক্রান্ত পড়ুয়া ঐশী ঘোষও রয়েছেন ৷ তদন্তের জন্য 46 জনকে ইতিমধ্যেই SIT-র সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ৷ যদিও নিজের উপর আসা সব রকম অভিযোগ ঐশী ঘোষ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, পুলিশকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে ৷
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে দিল্লি হাই কোর্টে জানানো হয়, তাদের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই হিংসার দিন ক্যাম্পাসের CCTV ফুটেজ চাওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি ৷ এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে দুটি গ্রুপের তথ্য চাওয়া হয়েছে ৷
সোমবার 5 জানুয়ারি সংক্রান্ত সমস্ত CCTV ফুটেজ, হোয়াটসঅ্যাপ তথ্য ও অনান্য তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিল্লি হাই কোর্টের পক্ষ থেকে ৷ এই বিষয়ে অ্যাপেল, হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগলকে নোটিশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷