পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

ভাসছে কাজিরাঙা, অসমে বন্যায় মৃত 68

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের 95 শতাংশ এলাকা জলমগ্ন । এর পার্শ্ববর্তী 37 নম্বর জাতীয় সড়কেও যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।

কাজিরাঙা
কাজিরাঙা

By

Published : Jul 16, 2020, 12:29 PM IST

Updated : Jul 16, 2020, 5:48 PM IST

গুয়াহাটি, 16 জুলাই : ক্রমেই খারাপ হচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি । বাড়ছে জলস্তর । ভাসছে একাধিক জঙ্গল । ক্ষতিগ্রস্ত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান, মানস জাতীয় উদ্যান । বন্যপ্রাণীরা আশ্রয় নিচ্ছে লোকালয়ে । বাঘ, হাতি ঢুকে পড়ছে কোনও বাড়ির রান্নাঘরে বা বারান্দায় । মৃত্যু হচ্ছে একাধিক প্রাণীর । বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় 3376টি গ্রামের 36 লাখ মানুষ । এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 68 জনের । সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ধুবরি এলাকা । এখানেই শুধু ক্ষতি হয়েছে 5.51 লাখ মানুষের । এরাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত 24 ঘণ্টায় মরিগাঁও অঞ্চলে তিনজন জলের তোড়ে ভেসে গেছে । বরপেতা জেলায় দু'জন, সোনিতপুর এবং গোলাঘাট জেলায় একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন ।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ও অসম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, উদ্যানের 95 শতাংশ এলাকা (প্রায় 430 বর্গকিলোমিটার ) জলমগ্ন । কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী 37 নম্বর জাতীয় সড়কেও যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত 45টি হরিণ, তিনটি বন্য শূকর, একটি হরিণ, একটি বন্য মহিষের মৃত্যু হয়েছে । যে 102টি প্রাণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তার মধ্যে 86 টি হরিণ রয়েছে । উদ্যানের ডিরেক্টর পি শিবকুমার বলেন, যে হারে উদ্যানের ভিতরে জল বাড়তে শুরু করেছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে । তিনটি অপ্রাপ্তবয়স্ক বাঘ কান্দোলিমারি গ্রামের একটি গোয়ালে আশ্রয় নিয়েছিল । এদের মধ্যে দু'টিকে ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে । বাকি একটি বাঘের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি ।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের 95 শতাংশ এলাকা জলমগ্ন, দেখুন ভিডিয়ো

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান তৈরি হয়েছিল 1908 সালে । 1985 সালে UNESCO হেরিটেজ সাইটের তকমা পায় । এখন এই উদ্যানে 2 হাজার 200 টিরও বেশি একশৃঙ্গ গণ্ডার রয়েছে । গোটা বিশ্বে যত একশৃঙ্গ গণ্ডার দেখা যায়, এই উদ্যানেই রয়েছে তার দুই তৃতীয়াংশ । প্রতি বছর বর্ষায় জাতীয় উদ্যান জলমগ্ন হয়ে যায় । ফলে প্রতি বছরই বর্ষার মরশুমে বিশাল সংখ্যায় বন্যপ্রাণী 37 নম্বর জাতীয় সড়ক পার করে সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় চলে যায় ।

শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে অসমের 33 জেলার মধ্যে 27টি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে । জলমগ্ন হয়েছে 2 হাজার 763টি গ্রাম । 24 লাখেরও বেশি মানুষ সমস্যার সম্মুখীন । নষ্ট হয়ে গেছে 1 লাখ 3 হাজার 806 হেক্টর জমি । শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বরপেতা জেলায় 5.29 লাখ, গোয়ালপাড়া জেলায় 4.27 লাখ, মোরিগাঁও জেলায় 4.20 লাখ, দক্ষিণ সালমারা জেলায় 2.25 লাখ, দারাং জেলায় 1.81 লাখ, কামরুপ জেলায় 1.44 লাখ, নলবাড়ি জেলায় 1.27 লাখ এবং গোলাঘাট জেলায় এখনও অবধি 1.23 লাখ মানুষ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

Last Updated : Jul 16, 2020, 5:48 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details