গুয়াহাটি, 16 জুলাই : ক্রমেই খারাপ হচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি । বাড়ছে জলস্তর । ভাসছে একাধিক জঙ্গল । ক্ষতিগ্রস্ত কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান, মানস জাতীয় উদ্যান । বন্যপ্রাণীরা আশ্রয় নিচ্ছে লোকালয়ে । বাঘ, হাতি ঢুকে পড়ছে কোনও বাড়ির রান্নাঘরে বা বারান্দায় । মৃত্যু হচ্ছে একাধিক প্রাণীর । বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় 3376টি গ্রামের 36 লাখ মানুষ । এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 68 জনের । সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ধুবরি এলাকা । এখানেই শুধু ক্ষতি হয়েছে 5.51 লাখ মানুষের । এরাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত 24 ঘণ্টায় মরিগাঁও অঞ্চলে তিনজন জলের তোড়ে ভেসে গেছে । বরপেতা জেলায় দু'জন, সোনিতপুর এবং গোলাঘাট জেলায় একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন ।
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ও অসম বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, উদ্যানের 95 শতাংশ এলাকা (প্রায় 430 বর্গকিলোমিটার ) জলমগ্ন । কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী 37 নম্বর জাতীয় সড়কেও যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত 45টি হরিণ, তিনটি বন্য শূকর, একটি হরিণ, একটি বন্য মহিষের মৃত্যু হয়েছে । যে 102টি প্রাণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তার মধ্যে 86 টি হরিণ রয়েছে । উদ্যানের ডিরেক্টর পি শিবকুমার বলেন, যে হারে উদ্যানের ভিতরে জল বাড়তে শুরু করেছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে । তিনটি অপ্রাপ্তবয়স্ক বাঘ কান্দোলিমারি গ্রামের একটি গোয়ালে আশ্রয় নিয়েছিল । এদের মধ্যে দু'টিকে ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে । বাকি একটি বাঘের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি ।