দিল্লি, 25 ফেব্রুয়ারি : CAA বিরোধী ও সমর্থনকারীদের সংঘর্ষে আজও উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লি ৷ গতকাল CAA ইশু নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷ একে অপরের দিকে পাথর ছোড়ে ৷ দোকান ও গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ৷ গতকালের এই ঘটনায় একজন পুলিশকর্মী-সহ নয়জনের মৃত্যু হয়েছে এবং 100 জনের উপর জখম ৷ প্রায় 48 জন জখম পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷ তিনজন দমকলকর্মীও জখম হয়েছেন ৷ দিল্লির এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করবেন ৷ বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উপ-রাজ্যপাল ও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা ৷
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে জারি করা হয়েছে 144 ধারা ৷ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়নের তরফে প্রতিবাদী আন্দোলনের জন্য খবর পাওয়ার পরই দিল্লি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল মধ্যরাতে উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজালের বাড়ি যান মন্ত্রী গোপাল রাই, ইমরান হোসেইন ও আম আদমি পার্টির বিধায়করা ৷ অনিল বাইজাল বলেন, "আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷" এই পরিস্থিতির জন্য উত্তর-পূর্ব দিল্লির সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত স্কুলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার ৷ পাশাপাশি, দিল্লি মেট্রোর তরফে জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবারপুর, গোকুলপুরি, জোহরি এনক্লেভ ও শিব বিহার স্টেশনগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে ৷
কর্মসূচি অনুযায়ী, ভারত সফরের প্রথম দিনই দিল্লিতে অনেকটা সময় কাটানোর কথা ছিল অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৷ কিন্তু, তাঁর দিল্লি পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজধানীতে এই সংঘর্ষ বাধে ৷ সংঘর্ষের এলাকাগুলির আধিকারিকদের ও বিধায়কদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি টুইটারে জানান, "দিল্লির বেশ কিছু জায়গার পরিস্থিতি নিয়ে আমি চিন্তিত ৷ আমাদের শহরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সবাইকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে ৷ হিংস্রতা থেকে দূরে থাকার জন্য সবাইকে আবেদন করছি ৷" গতকাল মধ্যরাতে দিল্লির পুলিশ প্রধান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব ও অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ ৷
উত্তর-পূর্ব দিল্লির আশপাশে মৌজপুরের মতো জায়গাগুলিতে পাথর ছোড়ার মতো ঘটনা ঘটায় বারবার দমকল বাহিনীর কাছে ফোন আসতে থাকে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তিনজন দমকলকর্মী জখম হন ৷ মৌজপুরে ই-রিকশা থেকে যাত্রীদের ফেলে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ অন্যদিকে, গোকুলপুরি এলাকায় গতরাতে টায়ার বাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ দিল্লি পুলিশের তরফে বিবৃতি জানানো হয়, "পরিস্থিতি খুবই খারাপ ৷ উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে এই সংঘর্ষের খবর জানাতে আমাদের কাছে অনেক ফোন এসেছে ৷"