পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

খোলেনি হাসপাতাল, ফুটপাথে দাঁড়িয়ে 69 জন কোরোনা আক্রান্ত - lockdown news

ঘটনাটির বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ইতিমধ্য়ে প্রকাশ্যে এসেছে । দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের গেট বন্ধ । বাইরের ফুটপাথে অপেক্ষা করছেন কোরোনা আক্রান্তরা ।

ছবি
ছবি

By

Published : Apr 25, 2020, 6:47 PM IST

লখনউ, 25 এপ্রিল : চিকিৎসার অপেক্ষায় ঘণ্টাখানেক ফুটপাথেই কাটালেন 69 জন কোরোনা আক্রান্ত । রোগীদের অভিযোগ, আজ সকালে ওই সরকারি হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাঁরা দেখেন, হাসপাতালের গেট বন্ধ । হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা না আসা পর্যন্ত বাইরের ফুটপাথেই অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশের ইটাবা জেলার সাইফাই এলাকার ঘটনা । জানা গেছে পরে ওই হাসপাতালের তরফে প্রয়োজনীয় ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যেই ঘটনাটির বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে ।

দিন কয়েক আগে আগরা থেকে এই 69 জন কোরোনা আক্রান্তকে সাইফাইর ওই সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল । বৃহস্পতিবার সকালে 69 জনকে নিয়ে বাসটি হাসপাতালে পৌঁছায় । তারপরই ফুটপাথের উপর এদিক ওদিক কোরোনা আক্রান্তদের বসে থাকতে দেখা যায় । ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের গেট বন্ধ । ফুটপাথের উপর এদিক ওদিক বসে রয়েছেন কোরোনা আক্রান্তরা । অধিকাংশর মুখে শুধুমাত্র একটি মাস্ক । বাসের কাছে রাখা একটি বস্তা থেকে জলের বোতল বা ওই জাতীয় কিছু জিনিস রোগীদের হাতে তুলে দিচ্ছে দুজন পুলিশকর্মী । পরে একজন পুলিশ আধিকারিক এসে দূর থেকে তাঁদের কিছু নির্দেশ দিচ্ছেন ।

ভিডিয়োতে দেখা যায়, চন্দ্রপাল সিং নামে ওই পুলিশ আধিকারিক বলছেন, "এখানে থাকুন। আমি নিশ্চিত যে, খুব শীঘ্রই একটি মেডিকেল টিম এখানে আসবে এবং একটি তালিকা তৈরি করে আপনাদের ভিতরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হবে । যা হয়েছে, তা হয়ে গেছে । এরপর আপনারা চারদিকে ছুটে বেড়ান, তাহলে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে । আমাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না, নাহলে আগেই ব্যবস্থা করা হত। কোনও খবর ছিল না আমাদের কাছে । আপনারা হঠাৎই পৌঁছে গেছেন ।"

উভয় হাসপাতালের মধ্যে যে যোগাযোগের অভাব ছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপাচার্য । তিনি বলেন, "যোগাযোগের অভাব ছিল । কিন্তু এনিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের দোষ দেওয়া যাবে না । এই রোগীদের একদিন আগে (বুধবার) আসার কথা ছিল । যখন এতজন রোগীকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে , তখন তাঁদের একটি তালিকা, শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত তথ্য সমস্ত কিছু যথাযথ হওয়া দরকার । তারপরই আমরা তাঁদের ভরতি নিতে পারি । কিন্তু যোগাযোগের অভাব ছিল। আমাদের কাছে কোনও তথ্যই ছিল না । তবুও তড়িঘড়ি কোনও তথ্য না দেখেই আমরা তাঁদের ভরতির ব্যবস্থা করেছি । এই কাজে ঘণ্টা খানেক লেগেছে । আমার জানা নেই, তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন কি না ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details