শাহারানপুর (উত্তরপ্রদেশ), 13 জুন: আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেলেন তবলিঘি জামাতের 57 জন সদস্য। উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুর জেলে বন্দী ছিলেন তাঁরা। প্রায় একমাসের উপর বন্দী ছিলেন তবলিঘি জামাত সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, তবলিঘি জামাতের এই সদস্যরা কিরগিজস্থান, বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের বাসিন্দা।
তবলিঘির তরফের আইনজীবী জান নিসার বলেন, জেলার নানা প্রান্তের মসজিদ থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গত 20 এপ্রিল তাঁদের জেলে পাঠানো হয়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "পুলিশ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁদের হেপাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে তাঁদের বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট দাখিল করে।"
পাশাপাশি তিনি বলেন, " আদালত দু পক্ষের যুক্তি শোনেন। IPC 188 ধারা ও সেকশন 3 ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে। তবলিঘিরা তাঁদের দোষ স্বীকার করে নেন। তাঁরা বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধও করেন।"
এরপর আদালতের তরফে তাঁদের 1মাস কারাবাসের শাস্তি দেওয়া হয়। শুক্রবার তাঁদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের মুক্তি দেয় বলে জানান তিনি।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তবলিঘিরা একটি বেসরকারি রিসোর্টে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের দেশে ফেরার আয়োজন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে কোরোনা আবহের মধ্যে 13 মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তবলিঘি জামাত। সূত্রের খবর, এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কমপক্ষে 9 হাজার তবলিঘি সদস্য অংশ নেন। যার মধ্যে একটা বড় অংশই ছিল বিদেশি। অনুষ্ঠানের পরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন তাঁরা।