চেন্নাই, 17 এপ্রিল : সুরাতে কাজ করতেন। কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলায় সেখানেই আটকে পড়েছিলেন । পরিস্থিতি ঠিক হলে বাড়ি ফিরবেন বলে ভেবেছিলেন । কিন্তু, ফেরা হয়নি । সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর । খবরটা পেয়ে দিশা হারিয়ে ফেলেছিল তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে থাকা তাঁর পরিবার । আর বোধহয় শেষ দেখাটাও হবে না। আশা ছেড়ে দিয়েছিল তারা । কিন্তু স্ত্রী রঙ্গনায়াগি শেষবারের জন্য দেখতে চেয়েছিলেন স্বামীকে । ইচ্ছে ছিল এলাকাতেই স্বামীর শেষকৃত্য করার । শেষে জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় চারদিনে প্রায় 4 হাজার কিমি পথ অতিক্রম করে ওই ব্যক্তির দেহ ফিরল তাঁর এলাকায় ।
সুব্বুরাজ । বাড়ি তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে । 15 বছর ধরে সুরাতের এক রেস্তরাঁয় কাজ করতেন । ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে কোরোনা সংক্রমণ বাড়ায় লকডাউন ঘোষণা হয় । বন্ধ হয়ে যায় পরিবহন পরিষেবা। তাই আর ঘরে ফিরতে পারেননি সুব্বুরাজ । ভেবেছিলেন লকডাউন শেষ হলে আবার ছেলে-বউর কাছে ফিরবেন । কিন্তু হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। 12 এপ্রিল সুরাতের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর । খবরটি পাওয়ার পর ভেঙে পড়েছিল পরিবার । সুব্বুরাজ চলে গেছেন । কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাঁকে একটি বার দেখাও যাবে না । কারণ সব পরিবহন বন্ধ । কিন্তু হাল ছাড়েননি মৃতের স্ত্রী রঙ্গনায়াগি । বুঝতে পারছিলেন না কীভাবে স্বামীর দেহ নিয়ে আসা যাবে বাড়িতে। তারপর ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর শিল্পা প্রভাকর সতীশের কাছে আবেদন জানান তিনি । এনিয়ে সুরাতের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । এরপর সহকারী ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর শিবাগুরুকে পুরো বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখার দায়িত্ব দেন ।