দিল্লি, 19 মে : শক্তি সামান্য দুর্বল হলেও ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে আমফান । গতকাল বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে এটি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ অতিক্রম করবে । বর্তমানে দিঘা থেকে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে 620 কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে আমফান । ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আজ সকাল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে আগাম সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে NDRF। আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে NDRF-র মুখ্য আধিকারিক এস এন প্রধান জানিয়েছেন, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় মোট 37 টি বিপর্যয় মোকাবিলাা টিম মোতায়েন করা হয়েছে । পাশাপাশি আরও অতিরিক্ত ব্যাটেলিয়ন রাখা হচ্ছে । ইতিমধ্য়েই উপকূলের জেলাগুলি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হচ্ছে ।
আজ সাংবাদিক বৈঠক করে NDRF-র মুখ্য আধিকারিক এস এন প্রধান বলেন, "এই মুহূর্তে আমরা দুটো সমস্যার সঙ্গে লড়ছি । কোরোনা আর সাইক্লোন । ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে মোট 37 টি বিপর্যয় মোকাবিলা টিম মোতায়েন করা হয়েছে । এর মধ্যে ওড়িশায় 15টি টিম রয়েছে । পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে 19টি টিম । পাশাপাশি আরও তিনটি টিম রাখা হয়েছে । এছাড়াও ছ'টি অতিরিক্ত ব্যাটেলিয়ন রাখা হয়েছে । বারাণসীতে 11 নম্বর ব্যাটেলিয়ন রয়েছে । পটনাতে রয়েছে 9 নম্বর ব্যাটেলিয়ন । গুয়াহাটিতে 1 নম্বর, বিজয়ওয়াড়ায় 10 নম্বর, আরাকোন্নামে 4 নম্বর ও পুনেতে 5 নম্বর ব্য়াটেলিয়ন রয়েছে। প্রত্যেক ব্যাটেলিয়নে চারটি টিম রয়েছে । অর্থাৎ 24 টি টিম তৈরি রাখা হয়েছে ।"
আমফান পরিস্থিতি নিয়ে গতকালই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী । উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পি কে সিনহা, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা ও অন্য শীর্ষ আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "বৈঠকে আমফানের মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতির বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হয়েছে । যদি কোনও এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তা দ্রুত কীভাবে খালি করা হবে সেনিয়েও যথাযথ পরিকল্পনা করা হয়েছে । আমি সকলের সুরক্ষা কামনা করি ।" বৈঠক চলাকালীন আগাম প্রস্তুতি নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের কথা জানায় NDRF ।
অন্যদিকে, IMD- র ডিরেক্টর জেনেরাল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, আজ থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে । ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোরে আগামীকালও ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এই পরিস্থিতিতে এই জায়গাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই লোকজনকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে ।