বেঙ্গালুরু, 12 অগাস্ট : গোটা শহরে হিংসার ছবি স্পষ্ট ৷ কোথাও পড়ে রয়েছে বড় বড় ইট ৷ কোথাও চটি-জুতো ৷ কোথাও আবার লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল ৷ রাস্তার উপর পড়ে রয়েছে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া কয়েকটি গাড়ি ৷ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়িগুলি ৷ গাড়ির কাঁচ ভেঙে-গুঁড়িয়ে রাস্তার উপর পড়ে রয়েছে ৷ আর মাঝে মধ্যেই শোনা যাচ্ছে পুলিশের ভারী বুটের আওয়াজ ৷ উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে বেঙ্গালুরুতে ৷ পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সেজন্য গোটা শহরে জারি করা হয়েছে 144 ধারা । কিন্তু, এখনও চাপা একটা আগুন রয়ে গেছে শহরে ৷
ঘটনার সূত্রপাত গতরাতে ৷ একটি আপত্তিকর পোস্ট সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয় ৷ ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে ওই পোস্ট ৷ সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, নিলম অঙ্গলার কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির ভাইপো সোশাল মিডিয়ায় ওই আপত্তিকর পোস্টটি করেছিলেন ৷ এরপরই পরিস্থিতি নিমেষে হিংসার রূপ নেয় ৷ উত্তেজিত জনতা বিধায়কের বাড়ির বাইরে জড়ো হতে শুরু করে ৷ বিধায়কের বাড়িতে পাথর ছোড়া হয় ৷ গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরুর ডি জে হাল্লি ও কে জি হাল্লি এলাকা ৷
উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় ৷ ঘটনায় কমপক্ষে 60 জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন ৷ সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত তিনজনে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ৷ সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা ৷ এদিকে হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত 145 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুর যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) সন্দীপ পাটিল ৷ হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে কংগ্রেস বিধায়কের ভাইপোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর :সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে বেঙ্গালুরুতে ধুন্ধুমার, নিহত তিন, জখম 60 পুলিশকর্মী
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, প্রায় 50-60 হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন ৷ তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছিলেন ৷ স্থানীয় এক থানায় ঢুকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে ৷ থানার বাইরে দাঁড় করানো প্রায় 200 টি বাইকে অগ্নিসংযোগ করা হয় ৷ এছাড়াও কমপক্ষে 24 টি ছোটো চারচাকার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে ৷