রায়পুর (ছত্তিশগড়), 1 নভেম্বর : দান্তেওয়াড়ায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল 27 জন মাওবাদী ৷ এর মধ্য়ে 5 জনের উপর আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ রবিবার ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়ায় পুলিশের পদস্থ আধিকারিক এবং CRPF-র কাছে তারা আত্মসমর্পণ করে ৷ এর মধ্য়ে 6 জন মহিলা রয়েছে ৷ আত্মসমর্পণের কারণ হিসেবে পুলিশের কাছে মাওবাদীদের এই দলটি জানিয়েছে, পুলিশের তরফে করা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তারা সন্তুষ্ট ৷ পাশাপাশি মাওবাদী নীতি ও তাদের প্রতিশ্রুতিতে নিরাশ হয়েই আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ৷
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চেয়ে আত্মসমর্পণ 27 মাওবাদীর
জুন মাসে লকডাউনের মধ্য়েই দান্তেওয়াড়া পুলিশের তরফে ‘লন ভারাতু’ নামে একটি ক্য়াম্পেন চালানো হয় ৷ যেখানে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসনের ব্য়বস্থা করা হয়েছে ৷
জুন মাসে লকডাউনের মধ্য়েই দান্তেওয়াড়া পুলিশের তরফে ‘লন ভারাতু’ নামে একটি ক্য়াম্পেন চালানো হয় ৷ যেখানে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসনের ব্য়বস্থা করা হয়েছে ৷ সেই ক্য়াম্পেনে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্য়ে 177 জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে ৷ যার মধ্য়ে রবিবারের এই আত্মসমর্পণটি সবচেয়ে বড় সাফল্য় বলে জানিয়েছেন দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লাভ ৷ আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্য়ে 11 জন গুফা জেলার বাসিন্দা ৷ সাতজন রয়েছে বেদমা জেলা থেকে, 5 জন মঙ্গনার, 3 জন হিতাওয়ারা এবং 1 জন হান্ডওয়া জেলার বাসিন্দা ৷ নিরাপত্তার কারণ তাদের পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ ৷ এরা মাওবাদী সংগঠনের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করত ৷ যার মধ্য়ে রয়েছে ডান্ডাকারান্য় আদিবাসী কিষাণ মজদুর সংগঠন, ক্রান্তিকারি মহিলা আদিবাসী সংগঠনের মাওবাদী ফ্রন্ট উইং এবং চেতনা নাট্য় মণ্ডলী সংগঠন ৷ এমনই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লভ ৷ এরা সকলেই পুলিশের উপর হামলা, IED বিস্ফোরণ সহ একাধিক মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷
আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, মাওবাদী নেতাদের ফাঁকা প্রতিশ্রুতিতে তারা নিরাশ হয়ে গিয়েছিল ৷ তাই নিজেদের অন্য় সঙ্গীদের আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দেখে তারাও উদ্ধুদ্ধ হয়েছেন ৷ এদের শুরুতে এককালীন 10 হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ৷ ‘লন ভারাতু’ ক্য়াম্পেনের প্রচার মাওবাদীদের মধ্য়ে বাড়াতে, মাওবাদী অধ্য়ুষিত সবক’টি গ্রামে পোস্টার লাগানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে ৷