বেঙ্গালুরু, 10 মার্চ : সময়ের ফারাক দেখে মনে হয়, যেন অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা । দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর পদত্যাগ করলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া । তার ঠিক পর পরই 6 মন্ত্রীসহ একসঙ্গে 19 জন বিধায়ক পদত্যাগ করেন ।
শোনা গেছিল, কর্নাটকে "অপারেশন কমলা"র পর এবার মধ্যপ্রদেশে নতুন রণনীতি "অপারেশন আঞ্জাম" । বেশ কয়েকদিন ধরেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল । রাজনৈতিক মহলের একাংশে শোনা যায়, এবার মাঠে নেমেছেন দলের "চাণক্য" অমিত শাহ । নির্দলীয় বিধায়কদের নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরক্ত হয়ে উঠেছিল BJP । তাঁদের অবস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণেই আর ভরসা করেনি গেরুয়া শিবির । l তাই নতুন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়, কংগ্রেস বিধায়করা । সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই আলাদা আলাদাভাবে কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলছিলেন BJP-র লোকজন । এবার অপারেশন আঞ্জামকে বাস্তব রূপ দেওয়ার সময় এসেছিল । শনিবার থেকেই দলীয় নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, শিবরাজ সিং চৌহান ও ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন শাহ । এদিকে, কয়েকদিন আগেই দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ তোলেন, BJP নেতা নরোত্তম মিশ্র ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দু'জনে মিলে নাকি তাঁদের দলের বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করছেন । এক-একজন কংগ্রেস বিধায়ককে 25-35 কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রলোভনও দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল । BJP যে তাদের বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে সে খবর পৌঁছায় কংগ্রেস শিবিরে । সেই রাতেই মুখ্যমন্ত্রীভবনে জরুরি বৈঠক করেন কমলনাথ, দিগ্বিজিয় সিং ও অন্যরা । এবার তাঁরাও নিজেদের বিধায়কদের ধরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন । কিন্তু, পরিকল্পনামতো কাজ । বেঙ্গালুরুতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিধায়কদের । সেখানে একটি হোটেলে রাখা হয় । যাতে কেউ প্রভাবিত করতে না পারে কিংবা বিধায়কদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ না করা যায়, সেজন্য কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় তাঁদের ।