ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের বিতর্কিত সফরের দু মাস পর ফের অপর প্রতিনিধিদলের সফর উপত্যকায় ৷ 370 ধারা প্রত্যাহারের পর, রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হওয়ার পর এটি বিদেশি প্রতিনিধিদলের দ্বিতীয় সফর ৷ 15 জন বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আসছেন সফরে ৷ এঁদের মধ্যে রয়েছেন অ্যামেরিকার রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টার ও নরওয়ের অ্যাম্বাসাডর হান্স জাকব ফ্রাইডেনলুন্ড বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে আসছেন ৷ সফরের উদ্যোগ নিয়েছে দিল্লি ৷ প্রথমে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁদের ৷ এরপর কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কাশ্মীরের প্রকৃত ছবিটা সম্পর্কে জানবেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ৷ লেফটেন্যান্ট গভর্নর জিসি মুর্মু ও বেশ কয়েকজন আধিকারিক-সহ কয়েকজনের সঙ্গে জম্মুতে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা ৷ দিল্লিতে ফিরবেন 10 জানুয়ারি ৷
সরকারি সূত্র বলছে, দিল্লির বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত-বিদেশি প্রতিনিধির তরফে জম্মু-কাশ্মীর সফরের অনুরোধ এসেছিল ৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে, জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাঁদের অনুরোধ রাখতে বলা হয়েছিল ৷ সেইমতোই দিল্লিবেসড 15 জন বিদেশি কূটনীতিক-দূতকে 9-10 জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ কেন্দ্র যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সচেষ্ট তা দেখতেই ৷
লাতিন অ্যামেরিকা ও আফ্রিকার দেশ থেকেই প্রতিনিধিরা সফরে আসছেন মূলত ৷ অ্যামেরিকা, মরক্কো, গুয়ানা, ফিজ়ি, টোগো, নাইজেরিয়া, আর্জেন্তিনা, ফিলিপিন্স, নরওয়ে, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম, পেরু, উজবেকিস্তান, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা থাকবেন এই দলে, জানিয়েছে সূত্র ৷ অ্যামেরিকা ও নরওয়ের প্রতিনিধিদের উপত্যকা সফরের বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ দুই দেশেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনামূলক প্রশ্ন উঠেছে ৷
সূত্র বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সফরের জন্য ভিন্ন একটি তারিখ দেখা হচ্ছে ৷ রিপোর্ট যদিও বলছে, ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা আরেকটু বেশি 'সময়' বা অভিগমন চাইছেন ৷ চাইছেন তুলনামূলক কম জটিল কোনও পরিস্থিতিতে উপত্যকায় গৃহবন্দী নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে ৷ এঁদের মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিরা রয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা PTI ৷