কলকাতা ও দিল্লি, 31 মার্চ : সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছে দেশে কোরোনায় আক্রান্তের মানুষদের একাংশ ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত সর্বশেষ নির্দেশিকা অনুযায়ী দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে 123 জন ৷ সুস্থ হয়ে উঠেছে রাজ্যের কোরোনা সংক্রমিতরাও ৷ নবান্নের আমলার ছেলে, রাজ্যে যার শরীরে প্রথম ভাইরাসের হদিস মিলেছিল, ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৷ সুস্থ হয়ে উঠেছে বালিগঞ্জের কোরোনা সংক্রমিত যুবকের বাবাও ৷ স্কটল্যান্ড থেকে ফেরা হাবড়ার যুবতিও কোরোনামুক্ত হয়ে উঠেছে ৷ কলকাতার বেলেঘাটা ID হাসপাতালে ভরতি বাকিদেরও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে ৷
এই পরিসংখ্যানগুলির দিকে নজর রাখলে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা স্বস্তি মিলবে ৷ শুধুমাত্র দেশেই নয়, গোটা বিশ্বেই সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছে কোরোনা সংক্রমিতরা ৷ বিশ্বে এখনও পর্যন্ত 1 লাখ 74 হাজারেরও বেশি মানুষ, যাদের দেহে ভাইরাসের হদিস মিলেছিল, সুস্থ হয়ে উঠেছে ৷ স্বাস্থমন্ত্রক যে হিসেব দিয়েছে, তাতে দেশে এখনও পর্যন্ত 35 জন প্রাণ হারিয়েছে ভাইরাসের সংক্রমণে ৷ মহারাষ্ট্র থেকে নতুন করে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে ৷
তবে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেশে যে পরিমাণে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে, সামাজিক দূরত্বের নামে যেভাবে সমাজের একাংশের মানুষের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও ৷ পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, তা নিয়ে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও ৷ বলেছিলেন, "সামাজিক দূরত্ব বাড়ান, কিন্তু মানবিক আবেগের দূরত্ব বাড়াবেন না ৷"