পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Bengaluru Cyber Fraud: 854 কোটির সাইবার প্রতারণা! বেঙ্গালুরু পুলিশের জালে 6 দুষ্কৃতী

দেশের নানা প্রান্তের হাজার হাজার মানুষের থেকে প্রায় 854 কোটি টাকা নিয়ে সাইবার প্রতারণা ৷ 3 মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে এরকমই এক প্রতারণা চক্রের হদিশ পেয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ ৷

ETV Bharat
ফাইল ছবি

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 30, 2023, 4:17 PM IST

বেঙ্গালুরু, 30 সেপ্টেম্বর:সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত এক বড় চক্রের পর্দা ফাঁস করল বেঙ্গালুরু পুলিশ ৷ প্রায় 854 কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে এই দুষ্কৃতী চক্রের বিরুদ্ধে ৷ শনিবার বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত 6 দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বিভিন্ন ইনভেস্টমেন্ট স্কিমের নাম করে এই সাইবার প্রতারণা চক্রটি দেশজুড়ে তাদের ফাঁদ পেতে ছিল ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই সাইবার প্রতারণা চক্রের শিকার ৷ বাজেয়াপ্ত হয়েছে একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, প্রিন্টার ও কার্ড সোয়াইপিং মেশিন ৷

পুলিশ জানিয়েছে, যে 6 দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম হল মনোজ, পনিন্দ্র, চক্রধর, শ্রীনিবাস, সোমশেখর ও বসন্ত ৷ এরা প্রত্যেকেই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৷ এই চক্রের সঙ্গে আরও তিনজন যুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে, তারাই এই প্রতারণার মাথা ৷ এই অভিযুক্তদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের ধরার চেষ্টা চলছে ৷ বেঙ্গালুরু পুলিশ আরও জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে প্রতারণার 5 কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ৷ বেঙ্গালুরুতেই প্রায় 49 লক্ষ টাকার জালিয়াতি করেছিল এই চক্রটি ৷

তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ ব্যবহার করে এই প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল এই চক্রটি ৷ প্রথমে বিনিয়োগকারীদের বলা হত হাজার থেকে 10 হাজার টাকার মধ্যে বিনিয়োগ করতে, এর বদলে বিনিয়োগকারীরা দৈনিক হাজার থেকে 5 হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবে বলে প্রলোভন দেখানো হতো ৷ চটজলদি এই অর্থ লাভের লোভেই এই প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পা দেন হাজার হাজার মানুষ ৷ কেউ কেউ 1 থেকে 10 লক্ষ টাকা পর্যন্তও বিনিয়োগ করেন ৷

এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ জানান, সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করেছে ৷ মূলত বিনিয়োগের বদলে চটজলদি মোটা অঙ্কের সুদ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েই এই আর্থিক জালিয়াতি চালানো হচ্ছিল এতদিন ধরে ৷ কীভাবে এই জালিয়াতির কাজ হতো, সেই প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এই প্রতারণার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম-সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করা হতো ৷ বিনিয়োগকারীদের প্রথমে নানা কথা বলে তাঁদের বিশ্বাস আদায় করা হতো, তারপর কেউ একবার টাকা বিনিয়োগ করে ফেললে আর তাঁকে কোনও টাকা বা সুদ ফেরত দেওয়া হতো না ৷ এই ভাবেই কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণা করে এই জালিয়াত চক্রটি ৷

আরও পড়ুন: সাইবার প্রতরণায় পরিযায়ী শ্রমিকদের লোক ঠকানোর পাঠ ! তদন্তে লালবাজার

পুলিশি তদন্তে আরও উঠে এসেছে, দেশজুড়ে প্রায় 5 হাজারটি এরকম প্রতারণার অভিযোগ বিভিন্ন থানায় দায়ের হয়েছে ৷ এরমধ্যে বেঙ্গালুরু শহরেই রয়েছে 17টি অভিযোগ ৷ এখনও পর্যন্ত জালিয়াতির অঙ্ক 854 কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে, প্রায় 84টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে চলছিল এই সাইবার প্রতারণা ৷ গত 3 মাস ধরে সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই অভিযোগগুলির ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছিল ৷ ক্রিপটো কারেন্সি, বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে ও গেমিং অযাপ ব্যবহার করে এই প্রতারণা চলত ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details