পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Kolkata to Ladakh on Foot : 100 দিনে কলকাতা থেকে হেঁটে লাদাখ পৌঁছনোর লক্ষ্যে পথচলা শুরু সিঙ্গুরের মিলনের - সিঙ্গুরের বাসিন্দা 26 বছরের মিলনকুমার মাঝি

মিলন জানিয়েছেন, তাঁর ইচ্ছে ছিল বাইকে চেপে লাদাখ যাওয়ার । কিন্তু আর্থিক কারণে তা সম্ভব হয়নি । তাই হেঁটেই পাড়ি দিয়েছেন তিনি (Kolkata to Ladakh on foot in 100 days)।

Kolkata to ladakh in 100 days
লক্ষ্য 100 দিন হেঁটে কলকাতা থেকে লাদাখ পৌঁছনো

By

Published : Apr 23, 2022, 7:46 PM IST

মান্ডি, 23 এপ্রিল: হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা 26 বছরের মিলনকুমার মাঝি (Milan Kumar Manjhi from West Bengal) । বাংলার এই যুবক শপথ নিয়েছেন তাঁর এক দুর্দান্ত লক্ষ্য পূরণের । আর সেই লক্ষ্য পূরণের তাগিদে বর্তমানে পথ হাঁটছেন মিলন । হাঁটছেন মাইলের পর মাইল, পেরিয়ে যাচ্ছেন পথের ধারের একের পর এর মাইল ফলক । সিঙ্গুরের এই যুবকের ইচ্ছা, তিনি লাদাখ যাবেন পায়ে হেঁটে । তাও মাত্র 100 দিনে (Kolkata to Ladakh on foot in 100 days) ।

ইতিমধ্যেই নিজে্র এই যাত্রা শুরু করে দিয়েছেন মিলনকুমার মাঝি । 22 ফেব্রুয়ারি হাওড়া ব্রিজ থেকে হেঁটে লাদাখের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন এই যুবক । নিজের দৃঢ় সংকল্পে ভর করে 60 দিনের মাথায় ইতিমধ্যেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন হিমাচলের মান্ডি জেলায় । কলকাতা থেকে লাদাখের দুরত্ব প্রায় 2500 কিমি । 100 দিনে এই বিপুল পথ পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা মিলনের । 60 দিনের মধ্যে যার অনেকটা অর্থাৎ 1800 কিমি পথ ইতিমধ্যেই তিনি পেরিয়ে গিয়েছেন । প্রতিদিন প্রায় 30 কিমি করে হাঁটছেন যুবক ।

আরও পড়ুন : চলন্ত বাইকে তুঙ্গে 'হেলমেটবিহীন' রোম্যান্স ! ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই আটক যুবক

কিন্তু কেন তাঁর এই কঠিন পথ চলার ইচ্ছা? মিলন জানিয়েছেন, লাদাখ ভ্রমণের স্বপ্ন তাঁর বহুদিনের । মাঝে ভেবে ছিলেন বাইকে করে কলকাতা থেকে লাদাখ যাবেন । কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় বাইক আর তাঁর কেনা হয়ে ওঠেনি । তাই ভরসা দু’পা । আর তাতে ভর দিয়েই সমতল থেকে পাহাড়, একের পর এক শহর, গ্রাম, জেলা, রাজ্য পেরিয়ে এগিয়ে চলেছেন সিঙ্গুরের এই যুবক । লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন মিলন । বাবার সঙ্গে তাই চায়ের দোকান চালাতে হয় তাঁকে । তারই মাঝে কয়েকটা মাস সময় নিয়ে তাঁর এই লাদাখ সফর । নিজের এই চলার পথে অনেকের সাহায্য পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মিলন । অচেনা হলেও পথের মাঝে কেউ তাঁকে দেখে খাবার এগিয়ে দিচ্ছেন, কেউ বা জল । কেউ দিচ্ছেন রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই । বেশ কিছু সামাজিক সংস্থা এই যুবককে আর্থিক সাহায্য করার আগ্রহও দেখিয়েছে, কিন্তু মিলন জানিয়েছেন তিনি কারও থেকে আর্থিক সাহায্য নেবেন না । গাড়ি চড়ার থেকে হাঁটা শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী, নিজের এই পথচলা দিয়ে সেই বার্তাও দিতে চান মিলন মাঝি ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details