বেল্লারি, 14 অক্টোবর:কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কর্ণাটকের বেল্লারিতে। বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বেল্লারি মহিলা থানায় মোট চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বেল্লারি পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে ৷ একই সঙ্গে, ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত নবীনকে গ্রেফতার করেছে বলেও জানা গিয়েছে ৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ অন্যদের খোঁজ শুরু করেছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা বেল্লারির একটি কলেজের ছাত্রী ৷ গত 11 অক্টোবর কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার ভাই এসেছে বলে মিথ্যা কথা বলে পরীক্ষার হল থেকে ডেকে নিয়ে অটোয় করে চার যুবক তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে তারা ওই তরুণীকে অটোতে মদ পান করিয়ে কপাল জেলার গঙ্গাবতী তালুকের সানাপুরার কাছে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে দাবি ওই তরুণীর। অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্ষণকারী অভিযুক্তরা নির্যাতিতা এবং তার পরিবারের পরিচিত ছিল ৷
এই ঘটনায় কাউল বাজারের বাসিন্দা নবীন, তন্নু ও সাকিব-সহ চারজন জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বেল্লারি মহিলা থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 341, 366, 342, 376, 114 এবং 34 ধারায় ধর্ষণ এবং অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত চলছে ৷ তদন্তের পরই সব তথ্য সামনে আসবে।
আরও পড়ুন: দফায় দফায় এনসিবি অভিযান মুম্বইয়ে, 135 কোটি টাকার মাদক-সহ গ্রেফতার 9 পাচারকারী
জেলা পুলিশ সুপার রঞ্জিত কুমার বান্দারু বলেন, "প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে ৷" জানা গিয়েছে, 21 বছর বয়সী অর্থনীতির ওই ছাত্রীর গত 11 অক্টোবর কলেজে পরীক্ষা ছিল। এই সময়ে, তার পরিচিত এক যুবক বড় ভাই এসে তাকে বাইরে ডাকছে এমন মিথ্যা বলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ এরপর জোর করে তাকে একটি অটোয় তুলে সানাপুরে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানেই একটি হোটেলে রুম বুক করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি অভিযুক্তরা সকলেই বেল্লারির। মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সুপার বলেন, "আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকিদেরও গ্রেফতার করব।"